International News

অস্ত্র কেনা নিয়ে পুতিনকে আশ্বাস মোদীর

আজ পুতিনকে মোদী জানিয়েছেন, তাঁরা ওয়াশিংটনকে নিরন্তর বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছেন যাতে ভারতকে এই আইনের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ০২:২৫
Share:

কাছে: সোচিতে বৈঠকের ফাঁকে কৃষ্ণ সাগরে নৌবিহারে দুই রাষ্ট্রনেতা, নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার। পিটিআই

শ্যাম না কুল— চূড়ান্ত উভয়সঙ্কটে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

আজ এক দিনের ঘরোয়া বৈঠক করতে রাশিয়ার সোচি শহরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতি, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডর গঠন, ব্রিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। কিন্তু আজকের বৈঠকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা নিয়ে আমেরিকার সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞামূলক আইনটি। সূত্রের খবর, আজ পুতিনকে মোদী জানিয়েছেন, তাঁরা ওয়াশিংটনকে নিরন্তর বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছেন যাতে ভারতকে এই আইনের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

গত দু’বছর বছর ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে অতীতের মাধুর্য নেই ভারতের। বরং পাকিস্তানের সঙ্গে দৃশ্যতই ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে মস্কো। এই নতুন বন্ধুত্বের পিছনে চিন কলকাঠি নাড়ছে বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক। তবে বিদেশনীতি নিয়ে যথেষ্ট চাপে থাকা ভারত প্রবল ভাবে চেষ্টা করছে ভারত-রাশিয়ার সেই পুরনো অক্ষকে ফের জাগিয়ে তুলতে। আর সেই লক্ষ্যেই তড়িঘড়ি ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের (নভেম্বরে) আগেই মোদী পুতিনের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা করতে আজ পৌঁছে গিয়েছেন সোচি। আলোচনার পরে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা বার বার উল্লেখ করেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তৈরি কৌশলগত সম্পর্ক এখন বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিতে পরিণত হয়েছে। এ এক বিরাট সাফল্য।’’ এমনকী চলতি বছরেই রাশিয়া থেকে পাঁচটি ‘এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ (সাড়ে চারশো কোটি ডলারের চুক্তি) কেনার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্বপ্নের আমেরিকায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন পাক তরুণী!

কিন্তু আমেরিকার সদ্য পাশ হওয়া ক্যাটসা আইন (কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাংশন অ্যাক্ট) আনার পরে পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল হয়ে গিয়েছে ভারতের কাছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুযুধান আমেরিকা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে উচ্চপ্রযুক্তির বা বড় মাপের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম যে দেশ কিনবে, তাকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে। ফলে বিপাকে পড়েছে ভারত। কারণ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার রণনীতি এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে আমেরিকার প্রতি নির্ভরতা বাড়ছে ভারতের। এ ছাড়া, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে বিপুল অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক স্বার্থ। আমেরিকাকে চটিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ফলাফলও এখন আর অস্পষ্ট নয়। ফলে নয়াদিল্লির চিরাচরিত ভারসাম্যের কূটনীতি এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সূত্রের খবর, পুতিনকে বলা হয়েছে আমেরিকাকে বুঝিয়ে এই আইন থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য ধারাবাহিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন