মার্জার-গতি, বিতর্কের সেতু  

সোমবারই ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজে অনেকগুলো ছবি সাঁটিয়ে মোসটিক ঘোষণা করেছিল, ‘‘সব ঠিক আছে। আমি নিজে দেখে নিয়েছি। আগামী কাল প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধন করে দেব। বুধবার থেকে তোমরা সবাই এসো।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০১:৪৫
Share:

মার্জার-ম্যাসকট মোসটিক। ট্রাক চালিয়ে সেতুর উদ্বোধন পুতিনের।

নিজের পায়ে হেঁটে গোটা রাস্তাটা দেখে নিয়েছিল সে। সাদা-হলুদ গোলগাল মার্জার, নাম মোসটিক। নবনির্মিত রাশিয়া-ক্রাইমিয়া সেতুর সরকারি ম্যাসকট!

Advertisement

সোমবারই ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজে অনেকগুলো ছবি সাঁটিয়ে মোসটিক ঘোষণা করেছিল, ‘‘সব ঠিক আছে। আমি নিজে দেখে নিয়েছি। আগামী কাল প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধন করে দেব। বুধবার থেকে তোমরা সবাই এসো।’’

ঘোষণা মতোই কাজ হয়েছে। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে একটা ট্রাক চালিয়ে ওই ১২ মাইল লম্বা সেতু উদ্বোধন করেছেন। সরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে সেটা। আজ থেকে সেতুটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হল।

Advertisement

এই সেতু পুতিনের ক্ষমতা এবং শক্তির অন্যতম প্রতীক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়াকে ছিনিয়ে নেন পুতিন। এ বার সরাসরি সেতু সংযোগ গড়ে তুলে রাশিয়ার অধিকারকেই আরও আঁটোসাঁটো করলেন তিনি। ইউক্রেন ব্যাপারটাকে তাদের রাষ্ট্রীয় সংহতির উপরে আঘাত হিসেবেই দেখছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে এ নিয়ে নালিশও জানিয়েছে তারা। এই সেতু আজভ সাগর থেকে ইউক্রেনে জাহাজ ঢোকাও ব্যাহত করবে। গোটা বিষয়টায় আমেরিকা খুশি নয় বলেই খবর। ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্ক নিয়ে নানা বিতর্কের আবহে এটা নতুন কাঁটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকায় নিযুক্ত রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফেসবুকে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রত্যাশিত ভাবেই আমেরিকা খুশি নয়।

কিন্তু ক্রিমিয়া তো রাশিয়াই। সেখানে পরিকাঠামো গড়তে কারও অনুমতি নেব না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement