মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ভূয়সী প্রশংসা রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে। সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়েও যখন রুশ-মার্কিন দ্বৈরথ প্রকাশ্যে, তখন গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্য, আমেরিকার সঙ্গে গভীর সুসম্পর্ক চায় রাশিয়া। হাত মিলিয়ে কাজ করতে তিনি প্রস্তুত। রিপাবলিকান পার্টির তরফে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে যিনি অগ্রগণ্য, সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অবিসংবাদিত নেতা’ আখ্যা দিয়েছেন পুতিন।
এক সাংবাদিক সম্মলনে পুতিন বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের মধ্যে অবিসংবাদিত নেতা।’’ পুতিন আরও বলেন, ট্রাম্প নিঃসন্দেহে এক জন অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও প্রতিভাবান মানুষ।’’ রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘‘ট্রাম্প বলছেন তিনি রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে নতুন একটা স্তরে নিয়ে যেত চান, আরও নিকট, আরও গভীর সম্পর্ক। এই ইচ্ছাকে স্বাগত না জানানোর কথা ভাবা যায় নাকি? অবশ্যই আমরা একে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন:
তুর্কি জাহাজের দিকে গোলাবর্ষণ রুশ ডেস্ট্রয়ারের
ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। শুধু আমেরিকাবাসী নয়, বার বার গোটা বিশ্বকে চমকে দিচ্ছেন তিনি। আমেরিকায় মুসলিমদের প্রবেশাধিকার বন্ধের পক্ষে সওয়াল করে প্রথমেই তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তার পর সকলকে আবার চমকে দিয়ে আমেরিকার ঘোষিত প্রতিপক্ষ রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের উপর জোর দেন ট্রাম্প। আইএস বিরোধী অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার পক্ষে তিনি সওয়াল করেন। আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামার রাশিয়া নীতির পুরো বিপরীত অবস্থানে রয়েছে ট্রাম্পের এই মন্তব্য। ফলে তা নিয়ে বিতর্ক স্বাভাবিক। বিতর্ক উপেক্ষা করে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় অনড় থাকার প্রতিদান এত দিনে পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেজ্ঞরা। ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত যদি ওয়াশিংটনের মসনদ দখল করতে সক্ষম হন, তা হলে ক্রেমলিনের আর হোয়াইট হাউজের মধ্যে কি গড়ে উঠবে সৌহার্দের সেতু? নজর থাকবে আন্তর্জাতিক মহলের।