সহবত এবং ভদ্রতা শিখুন ব্রিটেনে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা! এ হেন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়লেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিনিধি পল সাবাপথি। বিপাকে পড়ে রাতারাতি নিজের পদ থেকে ইস্তফাও দিতে হল তাঁকে। বাকিংহাম প্যালেসের এক মুখপাত্র তাঁর ইস্তফার কথা স্বীকার করেছেন।
কিন্তু কেন এমন বিতর্কিত মন্তব্য করতে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পল সাবাপথি?
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ অগস্ট। সে দিন পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বার্মিংহামে পাকিস্তানি দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন লর্ড লেফ্টেন্যান্ট অফ ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস সাবাপথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণ চলাকালীন কয়েক জন পাকিস্তানি নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তায় ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনাটি নজরে আসতেই মেজাজ হারান সাবাপথি। একটি ইমেলে তিনি পাকিস্তানিদের ‘সহবত এবং ভদ্রতা শেখা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন। এখানেই থেমে না থেকে ইমেলে আরও লেখেন, “পাকিস্তানিরা খুবই বন্ধুবত্সল। কিন্ত মাঝেমধ্যে তাঁরা ভুলে যান পাকিস্তানে নয়, ব্রিটেনে বসবাস করছেন তাঁরা। তাই শুধু নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আটকে না থেকে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গেও মেলামেশা বাড়ানো উচিত। নয়তো ব্রিটিশ পাকিস্তানি হিসেবে তাঁদের ছেলেমেয়েদের সফল হওয়া মুশকিল। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। গোল বাঁধল ইমেলটি লিক হওয়ায়। ইমেলটি প্রকাশ্যে আসতেই ওঠে বিতর্কের ঝড়। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বার্মিংহাম লেডিউডের সাংসদ শাবানা মেহমুদ। তাঁর মন্তব্যটি আক্রমণাত্মক এবং সাবাপথি-র ক্ষমার দাবি জানান ওই সাংসদ।
যাঁরা সাবাপথি-র ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করছেন বলে মনে করেন অনাবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? খারাপ কিছু তো বলেননি সাবাপথি। এশীয়দের সহবতই তো শেখাচ্ছিলেন তিনি। এতে এত হইচই করার কী আছে?
• ১৯৬৪ সালে ব্রিটেনে আসেন আদতে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা পল সাবাপথি।
• তিনিই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ লর্ড লেফ্টেন্যান্ট। ২০০৭ সালে তিনি এই পদে যোগ দেন।
• রাজা অষ্টম হেনরির আমলে প্রথম লর্ড লেফ্টেন্যান্ট পদটি সৃষ্টি হয়।
• প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ অনুসারে স্বয়ং রানি বেছে নেন এই পদে বসার যোগ্যদের।
• প্রতিটি কাউন্টির প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা।