Russia

Russia Ukraine War: চাপ বাড়ল পুতিনের, আমেরিকার হুমকিতে মস্কোকে যন্ত্রাংশ দিতে নারাজ বেজিং

রাশিয়ায় বিমান পরিবহণের জন্য মূলত বোয়িং ও এয়ারবাসের বিমান ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে বোয়িং ও এয়ারবাস রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগ ছিন্ন করেছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে রাশিয়ার যন্ত্রাংশ সরবরাহের চুক্তি হলেও আমেরিকার চাপে তা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১০:৩৪
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

রাশিয়াকে বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করে দিল চিন। আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের পরই চিনের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে ভারত ও তুরস্কের নাম বিবেচনা করছে মস্কো

Advertisement

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে আমেরিকা ও পশ্চিমী দুনিয়ার প্রায় সমস্ত দেশ মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু শুরু থেকেই রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলাকে ‘আগ্রাসন’ বলতে নারাজ চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবেও ভোটদানে বিরত থেকেছে বেজিং। কিন্তু এ বার রাশিয়াকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে মানা করে দিল শি চিনফিংয়ের দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সোমবার আমেরিকার সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই রাশিয়াকে যন্ত্রাংশ সরবরাহের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠে চিন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালেও চিনের সঙ্গে বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের চুক্তি এত দিন অটুট ছিল। কিন্তু গত সোমবার চিনের প্রতিনিধি ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে বসে ওয়াশিংটন। সূত্রের খবর, সেখানেই আমেরিকা চিনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মস্কোর সঙ্গে বেজিংয়ের ঘনিষ্ঠতাকে ভাল চোখে দেখছে না ওয়াশিংটন। এবং এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সহায়তা করলে তার পরিণতি চিনের পক্ষে ভাল হবে না।

Advertisement

চিন যে বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের চুক্তি বাতিল করেছে তা জানিয়েছে রাশিয়াও। রাশিয়ার বিমান পরিবহণ সংস্থা ‘রোসাভিয়াৎসিয়া’র মুখপাত্র ভ্যালেরি কুদিনভ বলেছেন, ‘‘আমি যত দূর জানতে পেরেছি, চিনের সঙ্গে বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার চুক্তি ছিল। কিন্তু চিন যন্ত্রাংশ সরবরাহে আপত্তির কথা জানিয়েছে। আমরা বিকল্প হিসেবে ভারত বা তুরস্কের কথা ভাবছি। তবে এখনও কিছুই চূড়ান্ত বলার সময় হয়নি।’’

রাশিয়ায় বিমান পরিবহণের জন্য মূলত বোয়িং ও এয়ারবাসের বিমান ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে বোয়িং ও এয়ারবাস রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগ ছিন্ন করেছে। এর ফলে বিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে সমস্যায় পড়ছে পুতিনের দেশ। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে যন্ত্রাংশ সরবরাহের চুক্তি হলেও, আমেরিকার চাপে তা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন