ফাইল চিত্র।
ইয়েমেনের যুদ্ধ আর সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনের ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও কেন সৌদি আরবের পাশে, সম্প্রতি এ নিয়ে সুর চড়িয়েছিল মার্কিন সেনেট। রিয়াধকে সামরিক সাহায্য বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিল কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ। রবিবার এর কড়া নিন্দা করল সৌদি প্রশাসন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে কাঠগড়ায় তোলা এবং ইয়েমেন-প্রস্তাব নিয়ে স্পষ্ট আপত্তি জানিয়ে রিয়াধ বলল, ‘‘এ ভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কারও নাক গলানো কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’’
সেনেটের ভোটে যা-ই হোক, মার্কিন বিদেশ দফতর সম্প্রতি জানিয়েছিল, ইয়েমেনের যুদ্ধে তারা সৌদি আরবের পাশেই থাকতে চায়। ইরান-সমর্থিত হুথি জঙ্গিদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন সেনা জোটের চার বছরের যুদ্ধের জেরে ইয়েমেনের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। সেই কারণেই সেনেট চায় আমেরিকা পিছু হটুক। কিন্তু এখনই যুদ্ধ থেকে সরে এলে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
তবে খাশোগি খুনে ট্রাম্প এখনও কেন সৌদি যুবরাজকে আড়াল করতে চাইছেন, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি। ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খন হন খাশোগি। এখনও তাঁর দেহ মেলেনি। তুরস্কের মতো মার্কিন সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি, সৌদি যুবরাজের নির্দেশেই তাঁকে খুন করে দেহ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। গত কালই এ নিয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্তের ডাক দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।