সিরিসেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত ২৬ অক্টোবর রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকারকে বরখাস্ত করে পছন্দের লোক মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কলম্বো শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। ছবি: এএফপি।

সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। তাঁর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রস্তুতিও বন্ধ হল আপাতত। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গত কাল ও আজ সিরিসেনার ওই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ১৩টি ও পক্ষে ৫টি আবেদন নিয়ে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি নলিন পেরেরার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে। সিরিসেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে যত আবেদন জমা পড়েছে, প্রতিটি নিয়েই শুনানি হবে ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। তার পরে দেওয়া হবে চূড়ান্ত রায়। তবে স্থগিতাদেশের কথা জানার পরেই স্পিকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন পার্লামেন্ট বসবে কাল।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত ২৬ অক্টোবর রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকারকে বরখাস্ত করে পছন্দের লোক মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এক সময়ে রাজাপক্ষের অধীনেই কাজ করেছেন সিরিসেনা। কিন্তু সরকার চালানোর জন্য ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে অন্তত ১১৩ জন এমপি-র সমর্থন দরকার। রাজাপক্ষের তা না থাকায় প্রথমে পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। স্পষ্টতই রাজাপক্ষকে এমপি জোগাড়ের জন্য সময় দিতে। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না দেখে, গত ৯ নভেম্বর পার্লামেন্টই ভেঙে দেন। মেয়াদ ফুরোনোর ২০ মাস আগেই। ঘোষণা করেন, ভোট হবে জানুয়ারিতে। সিরিসেনার যাবতীয় চেষ্টা আপাতত থমকে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এটা সম্ভব হয়েছে বিক্রমসিঙ্ঘে ও বাকি বিরোধী শিবির তাদের অবস্থানে অটল থাকায়। ‘বরখাস্ত’ হওয়ার দিন থেকেই বিক্রমসিঙ্ঘে বলে এসেছেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও অবৈধ।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশে যে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট কেটে গেল তা নয়। বিক্রমসিঙ্ঘেকে সরকারে ফিরতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে পার্লামেন্টে। আদালতের এই স্থগিতাদেশে বা রায়ের পরেও প্রধানমন্ত্রী পদে বিক্রমসিঙ্ঘের ‘পুনর্বহালের প্রক্রিয়া’ মসৃণ ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, প্রশ্ন সেটাও। কারণ, গোটা বিতর্কের প্রধান তিন চরিত্রের মধ্যে সম্পর্কের জট সহজে খুলবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন