জরুরি অবতরণের পর জ্বলছে বিমান। ছবি: রয়টার্স
বিমানের পিছনের প্রায় অর্ধেক অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা চত্বর। তার মধ্যেই বিমানের জুরুরি দরজা দিয়ে স্কিড করে একের পর এক যাত্রী নেমে আসছেন নীচে। রাশিয়ার মস্কো বিমানবন্দরে এমনই ভয়াবহ ছবি দেখে শিউরে উঠল গোটা বিশ্ব। জরুরি অবতরণের জেরে বিমানে আগুন লেগে মৃত্যু হল অন্তত ৪১ জন যাত্রীর। কেবিন ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে আহত আরও ৩৭ জন। কী কারণে জরুরি অবতরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবার সন্ধ্যা ছ’টা ৩ মিনিটে মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার উত্তর পশ্চিমের শহর মুরমানস্ক শহরের উদ্দেশে উড়ে যায় সুখোই সুপারজেট-১০০ বিমানটি। বিমান পরিষেবা সংস্থা এরোফ্লটের উড়ানটিতে যাত্রী ও কেবিন ক্রু মিলিয়ে ছিলে্ন ৭৮ জন। ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই জরুরি অবতরণের জন্য বার্তা পাঠান পাইলট।
বিমানবন্দর থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে রানওয়েতে প্রায় আড়াআড়ি ভাবে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ওড়ার আট মিনিট পরই রানওয়েতে নামে বিমানটি। কিন্তু ততক্ষণে পিছনের অংশে আগুন ধরে গিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র আতঙ্ক, কান্নাকাটি। রানওয়েতে নামার পরে জলন্ত বিমানের ভিডিয়ো ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পিছনের প্রায় অর্ধেক অংশই গ্রাস করেছে ভয়াবহ আগুন। সামনের দিকের জরুরি অবস্থায় নামার দরজা দিয়ে পিছলে নীচে নেমে আসছেন যাত্রীরা। তাঁদের অনেকেরই কোলে বা সঙ্গে শিশুও ছিল।
জরুরি অবতরণের খবর পেয়ে বিমানবন্দরে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুতই ছিল। রানওয়ে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভিতরে দগ্ধ এবং দমবন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা। আহতদের প্রথমে বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আগুন নেভানোর পর। পিছনের প্রায় অর্ধেক অংশই পুড়ে গিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
আরও পডু়ন: কুকথার জবাব ‘কর্মফল’ আর আলিঙ্গন
আরো পড়ুন: শান্তনুর দুর্ঘটনা ঘিরে জোর তরজা
তবে কী কারণে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠান ওই বিমানের পাইলট। তবে তদন্তকারী অফিসারদের একটি সূত্রে খবর, রেডিয়ো সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিতেই জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠাতে হয় পাইলটকে।