Sher Bahadur Deuba

দিল্লির স্বস্তি, কাঠমান্ডুতে কি ফের দেউবা

বুধবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে অন্য কয়েকটি দলের সমর্থনে নেপালি কংগ্রেস নেতা শেরবাহাদুর দেউবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু (নেপাল) শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ০৫:১২
Share:

শেরবাহাদুর দেউবা।

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হওয়ার পরে নতুন সরকার গড়ার দাবি পেশের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। তার পরেই নেপালে রাজনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে অন্য কয়েকটি দলের সমর্থনে নেপালি কংগ্রেস নেতা শেরবাহাদুর দেউবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত।

Advertisement

তবে অতীতে রাষ্ট্রপতি ভাণ্ডারীকে যে ভাবে ওলির পাশে দেখা গিয়েছে, তাতে সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গড়তে ডাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কোনও কোনও পর্যবেক্ষক। কারণ, সংখ্যালঘু হয়ে পড়লেও একক দল হিসেবে খাতায় কলমে তাঁর সমর্থক সাংসদের সংখ্যা এখনও সর্বাধিক। সে ক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার এক মাসের মধ্যে ওলিকে গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। তবে নেপালের নবীন সংবিধানের যে ৭৬(২) ধারায় রাষ্ট্রপতি সরকার গড়ার নোটিস জারি করেছেন, তাতে দলের চেয়ে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনও সাংসদ নিজের সমর্থনে বিভিন্ন দলের যথেষ্ট সংখ্যক সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করতে পারলে তবেই তা গ্রহণযোগ্য হবে।

চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত ওলি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। আবার নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ। ওলি সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেমন পায়ে পা দিয়ে বিবাদ করেছেন, একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছেন। আবার দলে ওলি যখনই আস্থার সঙ্কটে পড়েছেন, কূটনৈতিক প্রথা ভেঙে তাঁর সমর্থনে মাঠে নেমেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে দেউবার সরকার কাঠমান্ডুতে ক্ষমতায় এলে অবশ্যই স্বস্তি পাবে দিল্লি।

Advertisement

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ওলির পাশ থেকে সরে গিয়েছেন তাঁরই দলের পুষ্পকমল দাহাল এবং মাধব নেপালের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। এই অংশ সরকার গড়তে নেপালি কংগ্রেস নেতা দেউবাকে সমর্থন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া তরাইয়ের মদেশীয়দের ‘জনতা সমাজবাদী পার্টি-নেপাল’ দলের একটা অংশ দেউবাকে সমর্থন জানিয়েছে। সব মিলিয়ে নেপালি কংগ্রেসের সরকার পর্যাপ্ত গরিষ্ঠতা পাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তার পরেও কোনও কারণে সংখ্যা কম পড়লে অন্য একটি বিকল্পের কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কিছু ওলি-বিরোধী সদস্য ইস্তফা দিয়ে দেবেন। তা হলে মোট সাংসদের সংখ্যা কমে যাবে এবং দেউবা সহজেই গরিষ্ঠ অংশের সমর্থন পাবেন। নেপালি কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ওলির দলের প্রাক্তন নেত্রী রাষ্ট্রপতি ভাণ্ডারীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকাতেই তাঁদের আটঘাট বেঁধে এগোতে হচ্ছে, যাতে ওলি আর কোনও সুবিধা না-পেতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন