International News

কৃপাণ সঙ্গে রাখায় আমেরিকায় গ্রেফতার এক শিখ

আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা হরপ্রীত। নয় বছর আগে হরপ্রীতের নাম ছিল জাস্টিন স্মিথ। ধর্মান্তরণের পর নাম হয় হরপ্রীত সিংহ খালসা। এই ন’বছর ধরেই ধর্মের প্রতীক কৃপাণ নিজের সঙ্গে রেখে আসছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ১৭:২৪
Share:

হরপ্রীতকে হাতকড়া পরাচ্ছে পুলিশ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

দোকানে কিছু জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন হরপ্রীত সিংহ খালসা। তিনি সবে জিনিসপত্র কিনছেন, এমন সময় সাইরেন বাজিয়ে সেখানে হাজির জনা কয়েক পুলিশ। দোকানে ঢুকে সোজা হরপ্রীতের কাছে গিয়ে তাঁর হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দেন। তাঁর কী অপরাধ? কেনই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে! এ সব প্রশ্ন করার আগেই তাঁর সঙ্গে থাকা কৃপাণ-টা (শিখদের ধর্মীয় প্রতীক) নিয়ে নেন পুলিশ অফিসাররা। তার পর তাঁকে গাড়িতে তুলে সোজা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য হরপ্রীতকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

Advertisement

ঠিক কী হয়েছিল?

আরও পড়ুন: এত টাকা ধার রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের!

Advertisement

আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা হরপ্রীত। নয় বছর আগে হরপ্রীতের নাম ছিল জাস্টিন স্মিথ। ধর্মান্তরণের পর নাম হয় হরপ্রীত সিংহ খালসা। এই ন’বছর ধরেই ধর্মের প্রতীক কৃপাণ নিজের সঙ্গে রেখে আসছেন তিনি। এত দিন কোনও সমস্যাই হয়নি। সোমবারেও তিনি কৃপাণ সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন কিছু জিনিস কিনতে। গিয়েছিলেন ক্যাটনস্‌ভিল-এর একটি দোকানে। তিনি যখন জিনিস কিনছেন, তাঁর কোমরে রাখা কৃপাণ দেখে পুলিশকে ফোন করেন এক মহিলা। তিনিও ওই দোকানে ছিলেন। কী হচ্ছে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি হরপ্রীত। কেনাকাটা সবে হয়েছে, তখনই পুলিশ এসে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। কেন তাঁকে অযথা গ্রেফতার করা হচ্ছে? এ প্রশ্ন করাতে পুলিশ তাঁর কৃপাণটা নিয়ে দেখায় এই ছুরির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরপ্রীত পুলিশ অফিসারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, শিখ ধর্মে এটাকে কোনও অস্ত্র বলে গণ্য করা হয় না। এটা তাঁদের একটা ধর্মের প্রতীক। অভিযোগ, কোনও কথাই শুনতে চাননি ওই অফিসাররা। থানায় নিয়ে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ পরে হরপ্রীতকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন র‌্যাচেল বেরেসন ল্যাচাও নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি তিনি ফেসবুকে পোস্টও করেন। ল্যাচাও বলেন, “দেখলাম খালসা পুলিশের সঙ্গে দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। অফিসাররা তাঁকে বলেন হাত উপরে তুলতে। তার পর খালসার কাছ থেকে কৃপাণটা নিয়ে নেন। খালসা অফিসারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এটা তাঁদের বিশ্বাসের প্রতীক।” ল্যাচাও আরও বলেন, “আশা করি আমার পোস্ট করা ভিডিওটি সচেতনতা বাড়াবে।”

ফেসবুকে ল্যাচাওয়ের সেই পোস্ট

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন