মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বন্ধ, রক্ষা বিমানের

মাঝ-আকাশে বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতা পেরিয়ে অবশ্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ১৮২ জন যাত্রী। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সাংহাইগামী বিমান এসকিউ৮৩৬ তেমন বিপত্তির মুখেই পড়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০১:৪২
Share:

মাঝ-আকাশে বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতা পেরিয়ে অবশ্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ১৮২ জন যাত্রী। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সাংহাইগামী বিমান এসকিউ৮৩৬ তেমন বিপত্তির মুখেই পড়েছিল। শেষমেশ খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ফুট নীচে নেমে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পেরেছেন বিমানচালক। কিন্তু মাঝ-আকাশে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে বিমান সংস্থা।

Advertisement

গত শনিবার সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে সাংহাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এসকিউ৮৩৬। বিমান সংস্থার মুখপাত্র জানান, ওড়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে ৩৯ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘটনাটি ঘটে। বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিমানচালক ১৩ হাজার ফুট নীচে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে সাংহাইয়ে ঠিকঠাক অবতরণও করেন।

কিন্তু মাঝ আকাশে ১৮২ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মীর এ ভাবে প্রাণসংশয় হওয়ায় ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সংস্থা। যদিও সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, ওড়ার আগে বিমানের ইঞ্জিন দু’টি পরীক্ষা করা হয়েছিল। সাংহাই নামার পরেও সেগুলি ফের খতিয়ে দেখা হয়। কোনও অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিমান পরিষেবায় দু’টি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তবে এমন ঘটলে কী করতে হবে, তার প্রশিক্ষণও পাইলটদের দেওয়া হয়।

Advertisement

বিমানে ত্রুটি নেই অথচ মাঝ আকাশে তা বন্ধ হয়ে গেল কেন?

অভিজ্ঞ পাইলট সর্বেশ গুপ্ত একটি সম্ভাবনার কথা বলছেন। তাঁর মতে, ৩৯ হাজার ফুট উচ্চতায় তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। তখন বরফে ইঞ্জিন অনেক সময় জমে যেতে পারে। তার জন্য সাধারণত বিমানে অ্যান্টি আইসিং সিস্টেম থাকে। কিন্তু সেটি হয়তো এই বিমানের ক্ষেত্রে কাজ করেনি বলে মনে করছেন সর্বেশ। ওই বিমানের পাইলট দ্রুত অনেক কম উচ্চতায় নেমে এসেছিলেন, এই তথ্য জানিয়ে সর্বেশ বলছেন, যদি বরফের জন্যই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে চালক কম উচ্চতায় নেমে আসায় তাপমাত্রা বেড়েছে। বরফ গলে গিয়ে ইঞ্জিন ফের চালু হয়ে গিয়েছে।

তবে আদৌ এই কারণেই বিপত্তি ঘটেছিল কিনা, সে সবই এখন খতিয়ে দেখবে বিমান সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement