তুষার ঝড়ের ফলে রাস্তা থেকে সমস্ত গাড়ি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রত্যক্ষ ফল, নাকি অন্য কিছু নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। সঠিক ভাবে এ-ও বলা যাচ্ছে না প্রকৃতির প্রতিশোধে চরম অবিশ্বাসী ট্রাম্প মুচকি হাসছেন কিনা। তবে ফিলাডেলফিয়াবাসী মনে করতে পারছেন না, শেষ কবে মার্চের শেষের দিকে এমন তিন সপ্তাহে চার-চারটে তুষারঝঞ্ঝা হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্কতা জারি করেছিল। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তুষারপাত শুরু হয়। মোটাদানার চিনির মতো বরফ রাস্তাঘাট ঢেকে দিতে থাকে। তবে মঙ্গলবার স্কুল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা ছিল। কিন্তু বুধবার আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। বুধবার যে স্কুল বন্ধ থাকবে তা মঙ্গলবারই ঘোষণা করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ফিলাডেলফিয়ায় জারি করা হয়েছে ‘স্নো-ইমার্জেন্সি।’ এর ফলে স্নো ইমারজেন্সির জন্য নির্দিষ্ট রাস্তাগুলির দু’পাশ থেকে সমস্ত গাড়ি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাত্রি দু’টো পর্যন্ত তুষার ঝড় চলবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন
ভারতেও ভোট আসছে, কী বললেন জুকেরবার্গ
বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়েছে গাছ।
বুধবার সকাল থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। কখনও ফুলের পাপড়ির মতো হালকা ছেঁড়াছেঁড়া বরফ বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে তো কখনও গুড়িগুড়ি দানার লাফালাফি রাস্তায়। রঙিন শহর বদলে গিয়েছে সাদাকালো ছবিতে। বসন্তের শুরুতে গাছে গাছে কচি মুকুলের দেখা মিলতে না মিলতেই ফের তা ঢাকা পড়েছে বরফের আস্তরণে। জানলার কাচে পুরু বরফের স্তর। কোথাও কোথাও এক ফুটের বেশি বরফ জমা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন
ফেসবুক কাণ্ড: ঠিক কী হয়েছিল
মঙ্গলবার থেকেই ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে ওঠা নামা করা শতাধিক বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে বুধ এবং বৃহস্পতিবারও উড়ান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।। বিভিন্ন রাস্তায় প্রধানত ভারী যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বরফ-গলানো নুন ছড়ানোর পাশাপাশি বরফ সরানোর কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।
শহরের বাসিন্দারা মোটের উপর গৃহবন্দি। অধিকাংশই প্রয়োজনীয় খাবারদাবার আগেই সংগ্রহ করে রেখেছেন। ডিম, দুধ, চিজ, পাউরুটি, নুডলস সংগ্রহ করে আগাম বিপর্যয় পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন। তবে স্কুল ছুটির কারণে কচিকাঁচাদের জন্য বুধবারের দিনটা ছিল আনন্দের।
—নিজস্ব চিত্র।