ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত কাবুল নীতিকে প্রাথমিক ভাবে স্বাগতই জানিয়েছে সাউথ ব্লক। এর ফলে একইসঙ্গে পাকিস্তানকে চাপে ফেলা এবং আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে আরও বেশি করে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘আফগানিস্তান যে বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাকে রোখা এবং জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য ধ্বংস করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংকল্পকে আমরা স্বাগত জানাই। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে যারা সাহায্য পাচ্ছে, তাদের মোকাবিলা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’
ওয়াশিংটন চাইছে, নিরাপত্তা ও আর্থিক ক্ষেত্রে তাদের অন্যতম প্রধান সহযোগী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানে আর্থিক সাহায্য আরও বাড়াক ভারত। এই বিষয়টি নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের সঙ্গে পাঞ্জা কষছে নয়াদিল্লি। কাবুলের পুনর্গঠন এবং শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে গোটা দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্য মোদী সরকারের। যাতে বারবার বাদ সাধার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান।
তাই দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে ট্রাম্পের নয়া নীতি ঘোষণায় নয়াদিল্লির হাত আরও শক্ত হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘আফগানিস্তান সরকার এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সে দেশে শান্তি, সুস্থিতি এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যগত একটা সম্পর্কও রয়েছে।’’