— প্রতীকী চিত্র।
বচসাই কি কারণ? কী নিয়ে হয়েছিল বচসা? আমেরিকায় ভারতীয় প্রৌঢ়ের খুনের পরে এই প্রশ্নই উঠছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ওয়াশিং মেশিন নিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্র। আর সে কারণেই তাঁকে ৩৭ বছরের ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ় খুন করেন বলে অভিযোগ। এই ইয়োরডানিস আদতে কিউবার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর আমেরিকায় বসবাসের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। বৈধ নথি ছাড়াই আমেরিকায় থাকছিলেন তিনি।
চন্দ্র কর্নাটকের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৫০। আমেরিকার ডালাসে তিনি একটি হোটেলে ম্যানেজারের কাজ করতেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রও সেখানেই থাকতেন। অভিযোগ, তাঁদের চোখের সামনে প্রৌঢ়ের মাথা কেটে নেওয়া হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে ইয়োরডানিস প্রৌঢ়কে খুন করেন। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রৌঢ়ের মাথা কেটে নিয়ে ছিন্ন মুণ্ডে লাথি মারেন ওই যুবক। ছিন্ন মুণ্ড নিয়ে জঞ্জালের স্তূপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি নিজের দোষ কবুল করেছেন। আরও জানা গিয়েছে, অতীতেও বেশ কয়েক বার অপরাধে জড়িয়েছেন ওই কিউবান যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগও রয়েছে।
চন্দ্র যেই হোটেলের ম্যানেজার ছিলেন, সেখানেই কাজ করতেন অভিযুক্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি ওয়াশিং মেশিন নিয়ে দু’জনের বচসা শুরু হয়। সে সময় চন্দ্র অন্য এক জনকে বলেন, তাঁর নির্দেশ অনুবাদ করে ইয়োরডানিসকে বুঝিয়ে দিতে। তিনি সরাসরি কথা বলতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তাতেই চটে যান অভিযুক্ত। তিনি একটি চাপাতি নিয়ে এসে এর পরে কোপ দেন চন্দ্রের গলায়। তাতেই মৃত্যু হয় চন্দ্রের।