—ফাইল চিত্র।
হামবানতোতা বন্দরে চিনের বাণিজ্যিক কাজকর্মের উপরেও হস্তক্ষেপ করল শ্রীলঙ্কা সরকার। এক দিকে নয়াদিল্লির আপত্তি এবং অন্য দিকে হামবানতোতায় চিনা বন্দর গড়ে ওঠা নিয়ে সে দেশের বিক্ষুব্ধ নাগরিকদের প্রতিবাদের কথা মাথায় রেখেই শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট হামবানতোতা বন্দর নিয়ে চিনের সঙ্গে এই সংশোধিত চুক্তিতে সায় দিয়েছে।
হামবানতোতা বন্দরের ৮০ শতাংশ অধিকারই সম্প্রতি চিনা সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। হামবানতোতা বন্দরে চিন নৌঘাঁটি গড়ে তুলতে চায় বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। সে জন্যই এই বন্দর ঘিরে তীব্র আপত্তি তোলে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির সেই আপত্তির জেরেই সম্প্রতি চিনে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করেন, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণেই চিন এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ দিকে, শ্রীলঙ্কার কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ চলছিল। তার উপর নয়াদিল্লির আপত্তি তো রয়েছেই। সব দিক মাথায় রেখেই এ বার হামবানতোতা বন্দরে চিনের ব্যবসায়িক কাজকর্মের উপরেও হস্তক্ষেপ করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা।