আবার গুলি মার্কিন স্কুলে, অধরা খুনি

বিতর্ক-আলোচনার শেষ নেই। বন্দুক আইন, স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে নড়ে বসছে হোয়াইট হাউসও। তবু বন্ধ হচ্ছে না আমেরিকার স্কুলে গুলি চলার ঘটনা। এবং মৃত্যুও। তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন আলাবামার বার্মিংহাম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্মিংহাম (আলাবামা) শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৩
Share:

বিতর্ক-আলোচনার শেষ নেই। বন্দুক আইন, স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে নড়ে বসছে হোয়াইট হাউসও। তবু বন্ধ হচ্ছে না আমেরিকার স্কুলে গুলি চলার ঘটনা। এবং মৃত্যুও। তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন আলাবামার বার্মিংহাম।

Advertisement

এখানকার হফম্যান হাই স্কুলে গত কাল ছুটির সময়ে পরপর দু’টি গুলি চলে। একটিতে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক ছাত্রীর। অন্যটিতে ১৭ বছরের এক ছাত্র জখম হয়েছে। বার্মিংহামের অন্তর্বর্তী পুলিশ প্রধান অর্ল্যান্ডো উইলসন জানিয়েছেন, অনিচ্ছাকৃত ভাবে গুলি চলেছে বলেই এখনও পর্যন্ত মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশও আর কিছু ভেঙে বলেনি।

কে, কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালাল, তা জানতে স্কুলটির পড়ুয়া, শিক্ষক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। খোঁজা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। বন্দুকটি অবশ্য উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ প্রধান জানাচ্ছেন, গুলি চলার আগে স্কুলে কোনও ঝগড়া-মারামারি হয়েছিল বলে এখনও অবধি জানা যায়নি। ‘‘অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। ভিডিও ফুটেজ হাতে এলে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা গেলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হতে পারে বলে আমরা মনে করছি। তার আগে পর্যন্ত এটি দুর্ঘটনা বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে’’— বলেছেন পুলিশ প্রধান।

Advertisement

দুই আক্রান্তের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বার্মিংহামের মেয়র র‌্যান্ডল উডফিন জানান, নিহত ছাত্রীর ক’দিন বাদেই কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। তার স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। আহত ছাত্র স্কুলের ফুটবল টিমের খেলোয়াড়। একটা সন্দেহ দানা বাঁধছে, ঘটনার সঙ্গে ওই ছাত্রের কোনও যোগ আছে কি না। পুলিশ প্রধান বলছেন, ‘‘ওই ছেলেটি গুলি চালিয়েছে, তা বলছি না। আবার সে গুলি চালায়নি, এটাও বলছি না। প্রশ্নগুলো নিজেদের করছি, যাতে উত্তরটা পাওয়া যায়।’’

ফ্লরিডার স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় ১৭ জনের মৃত্যুর পরে আলাবামার স্কুলগুলিতে কড়া নিরাপত্তার দাবি তোলেন সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা। গত সপ্তাহে বার্মিংহামেরই অন্য একটি স্কুলে ঢোকার মুখে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির সময়ে দরজার বাইরে একটি বন্দুক পড়ে থাকতে দেখা যায়। গত কাল হামলা যে স্কুলে, তার দরজাতেও ছিল মেটাল ডিটেক্টর। তা সত্ত্বেও কী করে ঢুকে পড়ল বন্দুক? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। স্কুল সুপার লিজা হেরিং জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মীদের কাউন্সেলিং করানো, সেই সঙ্গে তদন্তের সুবিধের জন্যই আজ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন