ফের আত্মঘাতী হামলার শিকার ইন্দোনেশিয়ায় সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়। রবিবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ায় তিনটি গির্জায় অল্প সময়ের ব্যবধানে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৪১। পুলিশের দাবি, একই পরিবারের ৬ জন এই হামলাগুলি চালিয়েছে। ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা চলার সময়ে হামলাগুলো হয়। প্রথম হামলাটি হয় সান্টা মারিয়া রোমান ক্যাথলিক গির্জায়। সেখানে দু’জন হামলাকারী-সহ চার জনের মৃত্যু হয়। এর মিনিট কয়েক পরেই কেঁপে ওঠে খ্রিস্টান চার্চ অব দিপনেগোরো। তৃতীয়টি হয় প্যান্টেকোস্টা গির্জায়। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, স্বামী-স্ত্রী, তাঁদের দুই ছেলে এবং দুই নাবালিকা মেয়ে আলাদা আলাদা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সম্পর্কে বিশদ কিছু রাত অবধি জানায়নি পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করেই এই হামলা হয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, একটি গির্জায় গাড়ি চালিয়ে এসে হামলা চালান পরিবারের কর্তা। অন্য গির্জায় মোটরবাইকে চড়ে এসে হামলা চালায় ওই পরিবারেরই দুই ছেলে। বয়স ১৮ এবং ১৬ বছর। তৃতীয় গির্জাটিতে মায়ের সঙ্গে ১২ ও ৯ বছরের দুই বোন ঢুকেছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ওই মহিলা বোরখা পরেছিলেন। তাঁকে গির্জায় ঢুকতে বাধা দেওয়াও হয়। কিন্তু তিনি বাধা টপকেই ভিতরে ঢুকে এক জনকে জড়িয়ে ধরেন। তার পরই বিস্ফোরণ।
ক’দিন আগেই জাকার্তার কাছে একটি পুলিস হাজতে দাঙ্গায় ৬ জন পুলিশ ও তিন বন্দির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় আইএসের যোগ পেয়েছিল পুলিশ। তার পরেই এই ঘটনা এবং এ ক্ষেত্রেও আইএস দায় স্বীকার করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।