এর আগেও নজরদারির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব!

দীর্ঘ আট বছর ধরে তিন জন ফরাসি প্রেসিডিন্টের উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। খবরটা ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসেছে ফ্রান্স। এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমনও পাঠাল ফরাসি সরকার। তবে, শুধু ফ্রান্স নয়। সারা পৃথিবী জুড়ে বহু দিন ধরেই আমেরিকা নজরদারি চালাচ্ছে। ২০০৩-এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আধিকারিকদের উপরে নজরদারি চালানোর কথাও প্রকাশ্যে আসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ১৭:৩৮
Share:

দীর্ঘ আট বছর ধরে তিন জন ফরাসি প্রেসিডিন্টের উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। খবরটা ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসেছে ফ্রান্স। এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমনও পাঠাল ফরাসি সরকার। তবে, শুধু ফ্রান্স নয়। সারা পৃথিবী জুড়ে বহু দিন ধরেই আমেরিকা নজরদারি চালাচ্ছে। ২০০৩-এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আধিকারিকদের উপরে নজরদারি চালানোর কথাও প্রকাশ্যে আসে। এডওয়ার্ড স্নোডেন নামে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)-র প্রাক্তন এক কম্পিউটার কন্ট্রাকটর সেই সময়ে নজরদারির আওতায় নিয়ে এসেছিলেন ইইউ-কে। সেই সময়ে ইইউ দাবিও তোলে, খবরটা সত্যি হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা ছেড়ে কথা বলবে না।

Advertisement

“খবরটা পাওয়ার পর থেকে আমি সত্যিই চিন্তায় আছি। খুব খারাপও লাগছে।”—একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন স্কালজ্। খবরটা যদি সত্যি হয়, তবে মার্কিন-ইইউ সম্পর্কের উপর খুবই তিক্ত এক প্রভাব পড়বে, এমনটাও বলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি দাবি তরেন স্কালজ্। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি।

স্কালজ্-এর পাশাপাশি বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছিল জারমান জাস্টিস মিনিস্টার স্যাবাইন লিউথাজারকেও। তথ্য-প্রমাণ বলছিল, অন্য দেশের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি নজরদারি চালায় জার্মানির উপরেই। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে ‘কোল্ড ওয়ার’-এর বাইরে আর কিছু ভাবতে পারেননি স্যাবাইন। এই নজরদারির আওতায় ছিল ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং তুরস্ক।

Advertisement

তবে, সেই সময়েও বিষয়টি নিয়ে তেমন ভাবে মুখ খোলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার বেন রডেস সেই সময়ে এমন কোনও বিবৃতি দিতে চাননি যা সরকারি ব্যবস্থার বিপক্ষে যায়। এনএসএ এবং সিআইএ-এর প্রাক্তন প্রধান মাইকেল হেডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমি সরকারি চাকরিতে অনেক দিনই নেই, ফলে ঠিক কী হয়েছে তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। জানলেও এ নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য করতাম না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন