বক্তা: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। নিউ ইয়র্কে শনিবার। ছবি: এএফপি।
রাষ্ট্রপুঞ্জে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ফের সাধারণ সভার মঞ্চে জোর সওয়াল করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বোঝালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বদল না হলে নয়া বিশ্বকে বোঝা রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষে সম্ভব নয়।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। আমেরিকা-সহ কয়েকটি দেশ ভারতের পাশে থাকলেও মূলত চিনের আপত্তিতেই বার বার ধাক্কা খেয়েছে দিল্লির দৌত্য।
এ দিন সুষমা বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজেতা পাঁচটি দেশকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভারত-সহ বিশ্বের বড় অংশ যখন ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল তখন তৈরি নিরাপত্তা পরিষদ বর্তমান সময়ের জন্য উপযোগী কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জে সংস্কার আজই শুরু হওয়া প্রয়োজন। আগামিকাল অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে।’’ বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ এক জনের কথায় চলতে পারে না। ভারত বিশ্বাস করে, এই বহুপাক্ষিক মঞ্চে আমি শব্দটির চেয়ে আমরা শব্দটির গুরুত্ব অনেক বেশি।’’ এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের পূর্বসুরি ‘লিগ অব নেশনস’-এর কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সময়ের সঙ্গে তাল রাখতে না পারায় লিগ অব নেশনস ভেঙে গিয়েছিল। আমাদের সেই ভুল করা উচিত নয়।’’
দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন (সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট) নিয়ে কিছু লক্ষ্য স্থির করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেই লক্ষ্যপূরণে ভারতের সাফল্যের উপরে বিশ্বের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। সুষমার কথায়, ‘‘ভারত কখনওই বিশ্বকে ব্যর্থ হতে দেবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ১৭টি লক্ষ্যপূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।’’ বিদেশমন্ত্রী জানান, ভারতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ব্যাঙ্কের আওতায় আনা, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, গরিবের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সুষমার কথায়, ‘‘মহিলাদের উন্নয়ন দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাই সব প্রকল্পেই মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের জন্যও চালু হয়েছে আলাদা আলাদা বেশ কিছু প্রকল্প।