দিন রাত খাওয়া নিয়েই ব্যস্ত ‘আঙ্কেল ফ্যাটি’। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে
পর্যটকদের কাছে সে পরিচিত ‘আঙ্কেল ফ্যাটি’ নামে। গাছতলায় সকাল থেকে সন্ধে বিপুলাকার শরীর নিয়ে রাজার হালে বসে থাকে সে। কোনও দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। যে যা দিচ্ছে, খেয়ে যাচ্ছে মুখ বুজে। বাছ-বিচার নেই, সুইট কর্ন থেকে তরমুজ, নুডলস থেকে মিল্ক শেক— সবই চলে তার।
দামোদর শেঠের মতো বিশালাকার পেট নিয়েই নিজের ‘রাজ্যপাট’ সামলাচ্ছে এই পাহাড়ি বানর। ওজন প্রায় ১৫ কেজির কাছাকাছি। যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণ। প্রায়ই পর্যটকরা ভিড় জমান ‘আঙ্কেল ফ্যাটি’কে দেখতে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের দাবি ‘আঙ্কেল’-এর সঙ্গে বাচ্চা বানরদের খেলাও দেখার মতো। ‘আঙ্কেল’ নিজের বিশাল ভুড়ির নীচে অনেক খাবার লুকিয়ে রাখে। বাচ্চা বানররা সেই খাবার মাঝেমধ্যে চুরি করে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘মেরি শাদি ২৮ জুন কো হ্যয়, মুঝে পাশ করা দেনা’
কিন্তু বানর বলে কী ডায়েট করতে নেই। সে নিজে সচেতন না হলেও ‘আঙ্কেল’কে নিয়ে অবশেষে টনক নড়েছে ব্যাংককের বন দফতরের। ব্যাংককের ব্যাং খুন থেইন এলাকায় থাকে এই বানর। যে করেই হোক ‘ফ্যাটি আঙ্কেল’-এর ওজন কমাতে আর তাকে কর্মক্ষম করে তুলতে বদ্ধ পরিকর ব্যাংককের ন্যাশনাল পার্ক ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্লান্ট কনজারভেশন। বন দফতরের তরফে সম্প্রতি তাকে পাঠানো হয়েছে ওয়েট লস ক্যাম্পে। যাতে ডায়েট কন্ট্রোল আর শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ঝরঝরে করে তুলতে পারে ‘ফ্যাটি আঙ্কেল’।
বন বিভাগের এক আধিকারিক কঞ্জানা নিত্য জানান, “ফ্যাটি আঙ্কেলের ব্যাপারে আমরা সমস্ত খবরাখবর নিয়েছি। ওয়েট লস ক্যাম্পের পর ওকে কোনও ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভে পাঠানো হতে পারে।”