কেনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের এই শিক্ষকই বিশ্বসেরা

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হলিউড তারকা হিউ জ্যাকম্যান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

দুবাই শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৫১
Share:

পিটার টাবিচি

প্রত্যেক মাসে নিজের বেতনের প্রায় ৮০ শতাংশ দান করে দেন গরিবদের। ২০১৯-এ কেনিয়ার রিফ্‌ট ভ্যালির এক প্রত্যন্ত গ্রামের সেই শিক্ষক পিটার টাবিচির হাতেই তুলে দেওয়া হল ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ়’। পুরস্কার মূল্য দশ লক্ষ ডলার। শনিবার দুবাইয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হলিউড তারকা হিউ জ্যাকম্যান।

Advertisement

ন’জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে পুরস্কারটি জেতার পরে বছর ছত্রিশের পিটারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আফ্রিকায় প্রত্যেক দিনই এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। এই পুরস্কারটি আমাকে সম্মান জানাচ্ছে না, সম্মান জানাচ্ছে আফ্রিকার যুবসমাজকে। আমার ছাত্রদের কৃতিত্বেই আজ আমি এখানে।’’ তাঁর এই সাফল্যে পিটারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াট্টাও। এক ভিডিয়ো বার্তায় পিটারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনার গল্প গোটা আফ্রিকার গল্প। তরুণ প্রতিভায় ভরা এক মহাদেশের গল্প।’’

কেনিয়ার রিফ্‌ট ভ্যালির কাছে এক প্রত্যন্ত গ্রাম ওয়ানি। সেখানে ‘কেরিকো মিক্সড ডে সেকেন্ডারি স্কুল’-এ অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যা পড়ান পিটার। স্কুলটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রীই অনাথ। অনেকের আবার হয়তো শুধু বাবা কিংবা মা রয়েছেন। তবে সকলেই দারিদ্রসীমার নীচে। প্রায়ই দিনই খালি পেটে দিন কাটে তাদের। তা ছাড়া প্রায় সাত কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। পাশাপাশি ওই অঞ্চলে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া বা মা হওয়ার মতো সামাজিক সমস্যাও বেশ প্রকট। রয়েছে মাদকাসক্তির মতো সমস্যাও। সব মিলিয়ে স্কুলছুটের সংখ্যা কম নয়। তা ছাড়া রয়েছে শিক্ষকের সমস্যাও। প্রতি ৫৮ জন ছাত্রপিছু শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। রয়েছে মাত্র একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার। তবে ইন্টারনেট সংযোগ কাজ করে নামমাত্রই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কোনও কিছুরই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ছাত্রদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগী হন পিটার। ছাত্রদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে বেশিরভাগ ক্লাসেই ‘ইনফর্মেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ (আইসিটি) প্রযুক্তি ব্যবহার করেন তিনি।

পিটারের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতায় দেশের বড় বড় স্কুলগুলিকে পিছনে ফেলে ‘জাতীয় বিজ্ঞান’ প্রতিযোগিতাগুলিতেও কৃতিত্ব অর্জন করেছে এই প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন