Earthquake in Turkey and Syria

ধ্বংসস্তূপের নীচে ২৪৮ ঘণ্টা! তুরস্কে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার নাবালিকা

৬ ফেব্রুয়ারি বিপর্যয়ের পরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু তুরস্কেই ৩৫ হাজারের বেশি মৃত্যু। সিরিয়ায় ছ’হাজারের কাছাকাছি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৭
Share:

তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ২৪৮ ঘণ্টা পর জীবন্ত অবস্থায় এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হল। ছবি: রয়টার্স।

যখন সব আশা শেষ, তখনই আলো দেখতে পেলেন উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ২৪৮ ঘণ্টা পর জীবন্ত অবস্থায় এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হল। নাবালিকার নাম অ্যালেইনা ওলমেজ়। বয়স ১৭ বছর।

Advertisement

কাহরামানমারাস শহরটি ৬ ফেব্রুয়ারি হওয়া ভূমিকম্পের উৎসস্থলের খুবই কাছে। সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন কয়লা খনি শ্রমিক আলি আকদোগান। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা এখানে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে শব্দ শুনতে পাওয়ায় আমরা আশায় ছিলাম, কাউকে জীবন্ত উদ্ধার করা যাবে।” তিনি আরও জানান, অ্যালেইনাকে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যালেইনাকে জীবন্ত উদ্ধার করার পরেই উদ্ধারকারীদের জড়িয়ে ধরেন তাঁর কাকা। তুরস্কের কাহরামানমারাসে ২২২ ঘণ্টা পরে জীবিত মিলেছে এক ৪২ বছর বয়সি মহিলাকে।

অ্যালেইনাকে উদ্ধার করার পরেই ওই জায়গা থেকে স্থানীয় এবং সংবাদমাধ্যমের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই থরে থরে মৃতদেহ উদ্ধার হতে শুরু হয়।

Advertisement

৬ ফেব্রুয়ারি বিপর্যয়ের পরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু তুরস্কেই ৩৫ হাজারের বেশি মৃত্যু। সিরিয়ায় ছ’হাজারের কাছাকাছি। সাধারণ মানুষও বলছেন, তুরস্কের ইতিহাসে এত বড় বিপর্যয় ঘটেনি কখনও। যাঁরা বেঁচে আছেন, প্রায় সকলেরই চেনা পরিচিত বহু মানুষ আর নেই। ক্রমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। বহু দেশে ত্রাণসামগ্রী এবং উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ায় এ সব হিসাব দূরের কথা, প্রাথমিক ধাক্কাই তারা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অভিযোগ, ত্রাণ সে ভাবে পাচ্ছে না তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement