ইনস্টাগ্রামে ভোট চাওয়ার পর আত্মঘাতী কিশোরী 

এক আইনজীবীর দাবি, যাঁরা মৃত্যুর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হোক। মালয়েশিয়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০৩:৪৮
Share:

কয়েক দিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি ভোটিং পোল পোস্ট করেছিল মেয়েটি। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ভীষণ জরুরি। আমাকে ডি/এল বেছে নিতে সাহায্য করুন।’’ ‘ডি’ মানে ‘ডেথ’ আর ‘এল’ মানে লাইফ! জীবন-মরণের সেই খেলায় অন্তত ৬৯ শতাংশ ইন্টারনেট বন্ধুরা ভোট দিয়েছিলেন ‘ডি’-তে। আর সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল বছর ষোলোর ওই কিশোরী। সোমবার মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এক আইনজীবীর দাবি, যাঁরা মৃত্যুর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হোক। মালয়েশিয়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শিশুমনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পেনাং প্রদেশের এমপি ও পেশায় আইনজীবী রামকৃপাল সিংহ বলেছেন, ‘‘নেটিজেনের অধিকাংশ জীবনের পক্ষে ভোট দিলে এই মৃত্যুকে কি রোখা যেত? যদি তাঁরা কোনও বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিতেন, তা হলে মেয়েটি কি আজ বেঁচে থাকত?’’ মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী সৈয়দ সাদিক সৈয়দ আব্দুল রহমান উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘‘দেশের যুব সম্প্রদায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। এটি এখন জাতীয় সমস্যা। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’’

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। মালয়েশিয়ায় নিহত কিশোরীর পরিবারের জন্য সমবেদনা জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। সংস্থার শীর্ষ জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘গ্রাহকেরা যাতে নিরাপদ ভাবে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কোনও ব্যববহারকারী এই ধরনের বিপজ্জনক ইঙ্গিত দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাতে অনুরোধ করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement