ফ্রান্সে ট্রাক হামলার পর এ বার জার্মানির একটি লোকাল ট্রেনে হামলা চালাল এক আফগান কিশোর। মঙ্গলবার আইএসের প্রচার সংস্থা আমাকের তরফে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।
সোমবার রাত ন’টা নাগাদ জার্মানির বাভেরিয়া প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রেনটি ট্রিউশ্লিনজেন থেকে উয়ের্জবার্গের দিকে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে জনা পঁচিশেক যাত্রী ছিলেন ট্রেনে। ছিলেন বিদেশি পর্যটকেরাও। হঠাৎই বছর সতেরোর এক কিশোর ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে যাত্রীদের। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন চিনের চার পর্যটক। হামলার খবর পেয়ে চালক তড়িঘড়ি ট্রেন থামালে পালানোর চেষ্টা করে ওই কিশোর। তবে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারেনি। তার আগেই পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়ে সে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু কে এই কিশোর? কেনই বা সে হামলা চালিয়েছে, আইএসের সঙ্গে তার যোগাযোগ আদৌ রয়েছে কি না— সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর সতেরোর ওই কিশোর আসলে আফগান শরণার্থী। গত বছর প্রায় দেড় লক্ষ শরণার্থীর সঙ্গে সে জার্মানিতে পৌঁছয়। বাভেরিয়ার ওশেনফুর্টে শরণার্থী শিবিরে একাই থাকত ছেলেটা। তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে হাতে আঁকা আইএসের পতাকা আর প্রচারপত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেন থেকে লাফ মেরে পালানোর সময় ইসলামের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছিল সে। তাই আইএসের জেহাদি মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে একক হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তা ছাড়া অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মে মাসেই জার্মানির একটি লোকাল ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। তবে এ দিনের হামলায় সন্ত্রাসের পাশাপাশি ইউরোপ জুড়ে শরণার্থী সঙ্কট ও নিরাপত্তার প্রশ্নটা ফের সামনে এল।