ঘুমের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু। চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সিদ্ধান্ত সিবল-এর টুইটার পেজের সৌজন্যে।
সৌদি আরবের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণ দিতে হল ১১ জনকে। বদ্ধ ঘরে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সবারই। মৃতদের মধ্যে ১০ জন ভারতীয় এবং এক জন বাংলাদেশি নাগরিকের। এঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় একটি নির্মাণসংস্থার শ্রমিক ছিলেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে নজরান শহরটা ইয়েমেনের সীমান্ত লাগোয়া। মৃতেরা প্রত্যেকেই দীর্ঘ দিন ধরে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলটির একটি ঘরে থাকতেন। বুধবার (১২ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত দেড়টা (ভারতীয় সময় ভোর চারটে) চারটে নাগাদ সেই ঘরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যেকেই সেই সময় ঘুমিয়েছিলেন। নজরান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। কারণ, ঘরটিতে কোনও জানালা ছিল না। ফলে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল বহুতলটি। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে এগারোজনের। আরও ছ’জন শ্রমিক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুরনো এসি থেকে শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন, ভাঙল অতিকায় হিমশৈল, দায়ী কি উষ্ণায়ন
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, ঘটনার পরই সৌদি আরবের ভারতীয় দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মহম্মদ নুর রহমান শেখ চিকিৎসকদের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। নজরানের গভর্নরও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন নজরানের গভর্নর প্রিন্স জেলুই বিন আবদেলাজিজ। একটি কমিটি গঠন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরবের ‘সৌদি গেজেট’-এর খবর অনুযায়ী, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত শ্রমিকদের মধ্যে নয় জন ভারতীয়কে নিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন উত্তরপ্রদেশ, তিন জন কেরল এবং দু’জন তামিলনাড়ু ও বিহারের বাসিন্দা।
তবে ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সেদেশের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। যদিও যে নির্মাণকারী সংস্থায় মৃতেরা কাজ করতেন তাদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভারতীয় শ্রমিকদের দেহ ফিরিয়ে আনা নিয়েও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।