Terrorism

মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ, জানাল হোয়াইট হাউস

নয়া মার্কিন ভিসা নীতি যাতে দু’দেশের সম্পর্কে কোনও জটিলতা তৈরি না করে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। মৌখিক ভাবে প্রকাশ্যে সে কথা বার বার জানিয়েছেন তিনি। আগামী ২৬ জুন মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক। সেখানে দু’জনেই যে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ১৩:২৫
Share:

মোদী-ট্রাম্পের প্রথম ‘দেখা’র দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ এবং এইচ-ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মিডিয়া বিষয়ক সচিব এস স্পিসার। পাশাপাশি, ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই শীর্ষ প্রধানের মধ্যে কথা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নয়া মার্কিন ভিসা নীতি যাতে দু’দেশের সম্পর্কে কোনও জটিলতা তৈরি না করে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। মৌখিক ভাবে প্রকাশ্যে সে কথা বার বার জানিয়েছেন তিনি। আগামী ২৬ জুন মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক। সেখানে দু’জনেই যে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত। পাশাপাশি, দু’দেশের মধ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক সম্পর্ক যে এই বৈঠকে নতুন দিশা দেখবে এ দিন তা নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন স্পিসার। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ দু’দেশের ক্ষেত্রেই একটি বড় সমস্যা। জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে দু’দেশই বিশেষ ভাবে সক্রিয়। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ে সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আগামী দিনে কী ভাবে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন সন্ত্রাসদমনে দৃঢ় এবং যৌথ ভাবে কাজ করতে পারে, দুই শীর্ষ নেতা তা নিয়ে কথা বলবেন।’’

আরও পড়ুন: ২৬ জুন মোদী-ট্রাম্প বৈঠক, জানাল হোয়াইট হাউস

Advertisement

এর আগে মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে তিন বার ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু, মুখোমুখি সাক্ষাৎ এই প্রথম। ভারত এবং চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে চলতি মাসের শুরুতে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে এসেছিল আমেরিকা। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেই প্রেক্ষিতে ওই হাই প্রোফাইল সাক্ষাত্ কূটনৈতিক ভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

বারাক ওবামার আমলে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোট আট বার দেখা করেছিলেন মোদী। ট্রাম্প জমানাতেও সেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষপাতী প্রধানমন্ত্রী। ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন রাতেই মোদীকে ফোন করেন ট্রাম্প। সেই ফোনালাপে আগামী দিনে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতিও ছিল৷ পরে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জেতার পরেও মোদীকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

এ বার তাঁদের প্রথম ‘দেখা’র দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন