Bangladesh

ফেসবুকে আলাপের পর প্রেম, বিয়ের পিঁড়িতে বাংলাদেশের বর, তাইল্যান্ডের কনে

ফেসবুকে পরিচয়। তার পর ৫ বছরের সম্পর্ক। বিয়ে উপলক্ষে তানিদা এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। ভিসা পেয়ে গেলে তাইল্যান্ডে চলে যাবেন ওসমানও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৪৫
Share:

তাইল্যান্ডের তানিদা এবং বাংলাদেশের ওচমান গণি। ছবি: প্রথম আলো।

প্রেম বলে কয়ে আসে না। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান অনেকে, আবার দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের পর সেই সম্পর্ক প্রণয়ে পরিণত হয় কারও। তবে বাংলাদেশের ওসমান গণি এবং তাইল্যান্ডের তানিদার প্রেমকাহিনি একটু অন্য রকম। ৫ বছর আগে ফেসবুক মাধ্যমে আলাপ হয় ওসমান এবং তানিদার। সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ভালবাসায় পরিণত হয়। সেই প্রেমের টানেই তাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বিয়ে করতে আসেন তানিদা।

Advertisement

প্রথম আলো সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওসমানের বাবা জাবের আহমেদ জানিয়েছেন, মহেশখালি উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় থাকেন তাঁরা। ৫ ভাই ৫বোনের মধ্যে ওচমান চতুর্থ। অর্থের অভাবে সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি ওসমান। চ়ট্টগ্রাম শহরে মুরগির ফার্মে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। তার পর শহরের কাজ ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাড়ির কাছাকাছি একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরিও ছেড়ে দেন ওসমান। তানিদার সঙ্গে ওসমানের সম্পর্ক নিয়ে অনেক আগে থেকে জানতেন জাবের। এমনকি ২০২১ সালের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে ১৪ দিনের জন্য তানিদা ঘুরতে আসেন বলেও জানান ওসমানের বাবা।

পরে অবশ্য তাইল্যান্ডে ফিরে যান তরুণী। আপাতত তাইল্যান্ডেই চাকুরিরত তানিদা। ১২ ডিসেম্বর আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। সে দিনই ওসমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ে উপলক্ষে এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। ওসমান ভিসা পেয়ে গেলে তিনিও তাইল্যান্ডে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন জাবের। ১০ বছর তাইল্যান্ডে থাকার পর আবার বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে ওসমান-তানিদার।

Advertisement

জাবের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তানিদা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন না। ইশারার মাধ্যমে পুত্রবধূর সঙ্গে কথা বলছেন ওসমানের পরিবারের লোকেরা। তাইল্যান্ডের কনেকে দেখার জন্য প্রতিবেশীরা জাবেরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন জাবের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন