বিশ্বায়ন বনাম জাতীয়তাবাদ। ভবিষ্যৎ বনাম অতীত। উদারতা বনাম রক্ষণশীলতা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইকে এ ভাবেই বর্ণনা করছেন ভোট বিশেষজ্ঞেরা। এমনকী, দেশের বাইরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। বিপুল জনসমর্থন পেয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে চলেছেন মধ্যপন্থী তরুণ নেতা ইমানুয়েল মাক্রঁ। যাঁর ব্যক্তিত্ব, কথাবার্তায় অনেকেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন।
কী ভাবে এই নেতার আবির্ভাব ফরাসি রাজনীতির প্রাঙ্গনে?
ভোটের ময়দানে নেমে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না আগে। মাত্র এক বছর ছুঁয়েছে তাঁর নিজের হাতে গড়া দল ‘অঁ মার্শ’ (এগিয়ে চলা)। আর একটু একটু করে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলোকে সরিয়েই ‘এগিয়ে এসেছেন’ মাক্রঁ। অতি দক্ষিণ নেত্রী মারিন ল্য পেনকে অনেক, অনেক পিছনে ফেলে সুনিশ্চিত করেছেন জয়। যাতে মোটের উপরে খুশি ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। কারণ ল্য পেন প্রেসিডেন্ট হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বড়সড় সঙ্কট তৈরি হতো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাক্রঁর পাশে ছিল ভাগ্য আর রাজনৈতিক কৌশল দেখানোর ক্ষমতা। সবাই যে মাক্রঁকে চেয়েই তাঁকে ভোট দিয়েছেন, এমনটাও নয়। অতি দক্ষিণ নেত্রী ল্য পেনকে আসতে দেওয়া যাবে না, এই লক্ষ্য থেকেও অনেকে মাক্রঁকে বেছেছেন— কপাল খুলেছে সে দিক থেকেও। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদ জানিয়েছেন, ১৪ মে, রবিবার দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন মাক্রঁ।