—প্রতীকা ছবি।
প্রথম পাঁচ-সাতটা দিন নিয়ে সবচেয়ে ভয়। করোনা-সংক্রমণ নিয়ে এমনই দাবি করলেন ব্রিটেন ও ইটালির বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অসুস্থতার প্রথম সপ্তাহে করোনা-আক্রান্তদের শরীর থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বহু ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ে নিভৃতবাসে যাওয়ার আগেই ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস। আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন ঘনিষ্ঠরা।
গবেষণাটিতে যুক্ত রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা, ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্ড্রুজ় এবং নেপলসের কোতুগনো হসপিটালের বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম পাঁচটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ে যে কোনও আক্রান্তের শরীরের ‘আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক’-এ থাকে ভাইরাসটি। ফলে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে উপসর্গ টের পেলেই নিভৃতবাসে পাঠানো জরুরি। এর পাশাপাশি একটি বিস্ফোরক তথ্যও দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, সাধারণত ন’দিন পর্যন্ত ভাইরাসের সংক্রমণ শরীরে থাকে। কিন্তু সেই ভাইরাসের শেডিং বা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা থাকতে পারে ৮৩ দিন পর্যন্ত!
বিশ্বে করোনা
মৃত
১৩,৭২,৬০৮
আক্রান্ত
৫,৭৬,৫৬,৬২৫
সুস্থ
৩,৯৯,৭৩,২৫৬
বিশ্ব জুড়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ১৩ লক্ষ ৭২ হাজারের বেশি। শুধু আমেরিকাতেই ১ কোটি ২০ লক্ষ সংক্রমিত। মৃত্যু ২ লক্ষ ৫৮ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০০-রও বেশি মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসের পর থেকে আমেরিকায় দৈনিক সর্বোচ্চ মৃত্যু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আসার কোনও লক্ষণ নেই। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন দাবি করেছে, সংক্রমিতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, আসল সংখ্যা তার থেকে অন্তত ৬ গুণ বেশি। বিশ্ব জুড়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে তাদের দাবি, ২০২০-র মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত ১৫টি দেশে আসল সংক্রমণ হার, ঘোষিত সংখ্যার থেকে গড়ে ৬.২ গুণ বেশি ছিল। আলাদা করে বললে যেমন, ইটালিতে ঘোষিত সংখ্যার থেকে অন্তত ১৭ গুণ বেশি সংক্রমণ হয়েছিল। ‘রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।