ব্রেক্সিট বৈঠক নিয়ে মে ব্রাসেলসে

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জুনকার এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে আজ মধ্যাহ্নভোজের পরে আলোচনায় বসার কথা মে-র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

ব্রেক্সিট হোক। কিন্তু বাণিজ্যে তার কোনও প্রভাব পড়ুক, চান না টেরেসা মে। ইউরোপীয় ইয়নিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাই এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশে ব্রাসেলসে পা রাখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ব্রেক্সিটে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছে ইইউ। এ দফায় তারা ‘ডিভোর্স বিলের’ অঙ্কটাও বাড়িয়ে নিতে চাইছে।

Advertisement

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জুনকার এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে আজ মধ্যাহ্নভোজের পরে আলোচনায় বসার কথা মে-র। ব্রেক্সিটের পরে ব্রিটেন কী ভাবে ব্যবসা চালাবে, তা নিয়ে শীর্ষ বৈঠক হতে এখনও দিন দশেক বাকি। তার আগে ব্রাসেলসে আদৌ কোনও চুক্তি হয় কিনা, এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। তবে সব ঠিকঠাক এগোলেও, বুধবারের আগে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা। ইইউ নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রিটেন এখন অনেকটাই নমনীয়।

২০১৯-এর মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা। ব্রিটেন না চাইলেও, ইইউ মোটামুটি এমনটাই চেয়েছে। জানা যাচ্ছে, মে-র মুক্ত বাণিজ্যের দাবি মেটাতেও তৈরি তারা। তবে শর্ত একটাই— তার আগে ব্রেক্সিট নিয়ে অন্য সব ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে হবে লন্ডনকে। স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের একাংশ এখনও ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবিতে অনড়। ইউরোপীয় কাউন্সিল এ দিকে জানিয়ে দিয়েছে, এ সব ঝামেলা আগে মেটাতেই হবে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে কোনও রকম সীমান্ত সমস্যা হবে না, ব্রিটেন এটা নিশ্চিত করলেই ব্রেক্সিট নিয়ে এগোনো হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত অন্য দেশের নাগরিকদের একটা অংশ এখনও ব্রিটেনে। ব্রেক্সিট রূপায়নের আগে সেটাও ভাবাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement