পুরনো কাঁটাতেই মোক্ষম খোঁচা খেলেন ব্রিটেনের প্রবীণ মন্ত্রী তথা ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ড্যামিয়েন গ্রিন। পর্নোগ্রাফি কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র নির্দেশে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন গ্রিন।
গত মাসে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ২০০৮ সালে পার্লামেন্টে গ্রিনের কম্পিউটার থেকে কিছু পর্নোগ্রাফিক ভিডিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গ্রিন অবশ্য অভিযোগটি ভুয়ো বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে বিরোধীদের চাপে পড়ে ওই ঘটনায় অর্ন্ততদন্তের নির্দেশ দেয় মে সরকার। তাতে জানা যায়, গ্রিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অমূলক নয়। তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে এর পরেই গ্রিনকে পদত্যাগ করতে চাপ দেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন গ্রিন।
এই নিয়ে এক মাসে পদত্যাগ করলেন মে-সরকার ঘনিষ্ঠ তিন মন্ত্রী। গত মাসে পার্লামেন্টে নিয়মবিধি ভঙ্গের অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। সরকারের অগোচরে ইজরায়েলের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক করার অভিযোগে পদ খোয়াতে হয় ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেলকেও। গ্রিনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অবশ্য প্রথম নয়। কিছু দিন আগে, তাঁরই এক পারিবারিক বন্ধু-কন্যা গ্রিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। ৬১ বছরের গ্রিন ওই অভিযোগের কথা না মানলেও, পরে ওই মহিলারকাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।