পেরুর পশ্চিমে আমাজন বৃষ্টি অরণ্য। এই অঞ্চলে কচ্ছপরা ‘কাঁদতে’ পারে না! কচ্ছপের চোখের জল ‘মুছিয়ে’ দেয় প্রজাপতির দল।
পর্যটকেরা এমন দৃশ্য অনেকেই দেখে থাকবেন। কিন্তু কেন প্রজাপতিরা কচ্ছপের চোখে গিয়ে ভিড় করে তা অনেকেরই অজানা। আসলে ‘কান্না’ থামাতে নয়, প্রজাপতিরা কচ্ছপের চোখের জল শুষে নেয় নিজেদের স্বার্থেই। তারা কচ্ছপের চোখের জল থেকেই নিজেদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
কচ্ছপের চোখের জলই অবশ্য একমাত্র লবণের উৎস নয় প্রজাপতিদের। প্রাণীর মূত্র, ঘামে ভেজা জামা, নদীর তীরে জমে থাকা পলি থেকেও লবণ খায় তারা। কিন্তু কেন এরকম করতে হয় তাদের?
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমাজনের ওই অঞ্চলের মাটিতে সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই কম। কাছাকাছি যে লবণের ভাণ্ডার রয়েছে, সেই অতলান্তিক মহাসাগর এই অঞ্চল থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে মাটিতে লবণের পরিমাণ খুব কম। নিজেদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এমন আচরণ তাদের।
কিন্তু এতে কি কচ্ছপের কোনও ক্ষতি হয়? প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক ভাবে তেমন কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু চোখের উপরে প্রজাপতি বসে থাকায় তাদের দৃষ্টি বাধা পায়। শিকারি বা অন্য কোনও বিপদ সামনে রয়েছে কি না কচ্ছপের দল তা দেখতে পায় না।
প্রজাপতি ছাড়া অনেক সময় মৌমাছিদেরও এমন করতে দেখা যায়। আর এই অঞ্চলের অন্য প্রাণীরা কী ভাবে লবণের অভাব মেটায়? প্রাণী বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ম্যাকাও বা অন্য পাখিদের অনেক সময় মাটি খেতে দেখা যায়। বাঁদরের কিছু প্রজাতিকেও মাটি খেতে দেখা গিয়েছে।