International

রাশিয়াকে গোপন তথ্য দিয়ে বেশ করেছি, টুইটে লিখলেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে গিয়ে সফররত রুশ বিদেশমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতকে গোপন খবরাখবর দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়াকে সাহায্য করতেই তিনি ওই সব জানিয়েছেন মস্কোকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ২০:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে গিয়ে সফররত রুশ বিদেশমন্ত্রী ও রুশ রাষ্ট্রদূতকে গোপন খবরাখবর দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়াকে সাহায্য করতেই তিনি ওই সব জানিয়েছেন মস্কোকে।

Advertisement

মঙ্গলবার তাঁর টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ও বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি রাশিয়াকে যে সব তথ্য দিয়েছি, তা আমি দিতেই পারি। ওই সব তথ্য শেয়ার করার সম্পূর্ণ অধিকার আমার রয়েছে। কাজটা করেছি আমি মানবতার খাতিরে। আমি এটাও চাই যে, সন্ত্রাসবাদ এবং আইসিসের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করুক রাশিয়া। তার জন্য যে সব তথ্য প্রয়োজন, আমি সেই সব তথ্যই দিয়েছি রাশিয়াকে।’’

( ) ;

Advertisement

;

( )

& ;

;

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে রুশ বিদেশমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী ভাবে অত্য়ন্ত গোপন খবরাখবর তিনি শেয়ার করতে পারলেন, তা নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে গত কয়েক দিন ধরে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

তারই প্রেক্ষিতে এ দিন টুইট করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা জানালেন, তার মোদ্দা বক্তব্য, তিনি যা করেছেন, বেশ করেছেন! ওই কাজটা তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে করতেই পারেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তুমুল হই চই শুরু হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার গোটা ঘটনাটাই অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তেমন কিছু হয়নি। কোনও গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করা হয়নি। তবে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যাতে দু’দেশেরই স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। দু’দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও ওঁদের আলোচনা হয়েছে।’’ আর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওই সমালোচনাকে ‘ননসেন্স’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘এটাকে সমর্থন বা অস্বীকার করা, কোনওটারই প্রয়োজন নেই কোনও।’’

আরও পড়ুন- টেপের হুঁশিয়ারি ব্যুমেরাং ট্রাম্পের

রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন যোগসাজশ নিয়ে ফেডারাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তদন্ত শুরু করার পরপরই এফবিআইয়ের অধিকর্তা জেমস কোমিকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement