দিন কয়েক আগে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ রবে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এ বার যেন সেই আন্দোলনের ঢেউই অন্যরকম ভাবে আছড়ে পড়ল কানাডায়।
মাস খানেক আগের ঘটনা। তিন বোন সাইকেল চড়ে যাচ্ছিলেন কানাডার রাস্তায়। হঠাত্ই পুলিশ তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায়। কারণ তাঁদের শরীরের ওপরের অংশে কোনও পোশাক ছিল না। তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এ বার এই ঘটনাকে সমর্থন করেই শরীরের ওপরের অংশ অনাবৃত রেখে প্রতিবাদে সামিল হলেন শ’খানেক কানাডিয়ান মহিলা। তাঁদের স্লোগান ‘বেয়ার উইথ আস’। ‘ন্যুডিটি’ তাদের কাছে ‘সেক্সুয়াল’ নয়। ওয়াটারলুর রাস্তায় এই ‘টপলেস’ প্রতিবাদে থমকে গিয়েছে কানাডা।
ওই তিন বোন তামিরা, নাদিয়া এবং আলসা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন খুব গরম আবহাওয়া ছিল। সে কারণেই তাঁরা শার্ট খুলে ফেলেছিলেন। ১৯৯৬-এর আদালতের নির্দেশনামা অনুযায়ী অন্টারিওতে ‘টপলেস’ হয়ে ঘুরতে মহিলাদের কোনও আইনি বাধা নেই। তাঁরা পুলিশকে সে কথা জানালে পুলিশ সুরক্ষার কারণে তাঁদের পথ আটকেছিল বলে জানা গিয়েছে। পেশায় গায়িকা আলসা ব্রেরার কথায়, ‘‘আমি জানি না মহিলাদের বুক নিয়ে সাধারণ মানুষের কী সমস্যা? আমরা শুধু সকলকে জানাতে চাই অন্তত কানাডায় মহিলাদের টপলেস হয়ে প্রকাশ্যে ঘোরার অধিকার রয়েছে।’’ কিন্তু এ কারণে মহিলাদের অপমান করার অধিকার কারুর নেই। প্রতিবাদে সামিল অনেকেই জানিয়েছেন, এটা স্বাধীনতার প্রশ্ন। সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। আইনি স্বীকৃতি থাকায় মহিলাদের এ ধরনের আচরণে কোনও বাধা নেই। উল্টে তাঁদের প্রশ্ন, পুরুষরা যদি ‘টপলেস’ হয়ে ঘুরতে পারেন তবে মহিলাদের বাধা কোথায়?
প্রতিবাদ যখন নগ্ন