মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত অগস্টে নয়া আফগান নীতি ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনই সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, জঙ্গি দমনে সদর্থক ভূমিকা পালন না করলে ইসলামবাদকে দেওয়া বিপুল পরিমাণ মার্কিন আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেবে ওয়াশিংটন। চার মাস কেটে গেলেও আফগানিস্তান তথা গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান কিছু করেনি বলে এ বার অভিয়োগ তুলল হোয়াইট হাউস। মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদকে মুক্ত করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছে আমেরিকা। জানিয়েছে, এর ফলে সন্ত্রাসবাদ দমনের গোটা প্রক্রিয়াটাই পিছিয়ে পড়ল বলে মনে করছে তারা।
এক মার্কিন আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ভূমিকায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয় ট্রাম্প প্রশাসন। আফগানিস্তানে তালিবানি সন্ত্রাস দমনের সঙ্গে সঙ্গে নয়া আফগানিস্তান গড়াতেও পাকিস্তান এত দিন সে ভাবে মনযোগ দেয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ওই আধিকারিক। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী তালিবান আর হক্কানি গোষ্ঠী নির্মূলে খুব শীঘ্রই সদর্থক ভূমিকা নেবে ইসলামাবাদ।
পাঁচ বছর ধরে আফগানিস্তানে বন্দি কোলেম্যান পরিবারের মুক্তিকেও পাক সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে সদর্থক ভূমিকা বলে মানতে রাজি নন ওই মার্কিন আধিকারিক। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা খুশি যে কোলেম্যানরা এখন মুক্ত। কিন্তু সম্পূর্ণ আমাদের গোয়েন্দা তথ্য আর ক্রমাগত কূটনৈতিক চাপে পাক সরকার হক্কানি নেটওয়ার্কের কবল থেকে ওঁদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে বাধ্য হয়।
ওই মার্কিন আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা জানি সন্ত্রাসবাদের মতো বিষের বিরুদ্দে লড়াই একদিনে হয় না। আমরা তেমন কোনও সময় সীমাও বেঁধে দিইনি। কিন্তু এত দিনে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে পাকিস্তান সাহায্যের হাত বাড়ায়নি, তা স্পষ্ট। আমরা চাই দ্রুত তালিবান আর হক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামুক পাক সরকার। পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করুক তারা।’’