International News

একটা ছবি বদলে দিল ট্রাম্পের মত, মার্কিন বাহিনী থাকছে আফগানিস্তানে

প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেও আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনড়ই ছিলেন। কিন্তু মার্কিন সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহমত ছিলেন না। সহমত ছিলেন না জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারও। সম্প্রতি একটি ছবি দেখে ট্রাম্পও মত বদলে ফেলেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ২২:২৬
Share:

মত বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। আফগানিস্তানে সেনা রাখতে রাজি তিনি। ছবি: এপি।

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না আমেরিকা। সোমবারই জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে আফগানিস্তানে বাহিনী রাখার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে ডেমোক্র্যাট ওবামার সরকারকে রিপাবলিকান ট্রাম্প যে সব ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করতেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই আফগান যুদ্ধের ব্যয়। অবিলম্বে আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি বার বার সওয়াল করতেন। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমন এক ছবি দেখিয়েছেন ট্রাম্পকে, যে ট্রাম্পের মত বদলে গিয়েছে। আফগানিস্তানে বাহিনী রাখা যে জরুরি, তা ট্রাম্প বুঝতে পেরেছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রের।

Advertisement

ট্রাম্পকে যে ছবি দেখানো হয়েছে, তাতে কাবুলের রাস্তায় স্কার্ট পরিহিতা মহিলাদের দেখা গিয়েছে। তবে এই ছবিটিই ট্রাম্পকে দেখানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ছবি: সংগৃহীত।

প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেও আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনড়ই ছিলেন। কিন্তু মার্কিন সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহমত ছিলেন না। সহমত ছিলেন না জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারও। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁরা অনেক দিন ধরেই বোঝাচ্ছিলেন, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করলে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াই বড় ধাক্কা খাবে। ট্রাম্প মত বদলাতে প্রথমে রাজি ছিলেন না। কিন্তু সম্প্রতি এক বৈঠকে ট্রাম্প মত বদলে ফেলেছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাকমাস্টার ট্রাম্পকে ৭০-এর দশকের আফগানিস্তানের একটি ছবি দেখিয়েছেন বলে খবর। ছবিটি ১৯৭২ সালে তোলা। সাদা-কালো সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের রাস্তায় মিনিস্কার্ট পরে এবং পশ্চিমী আদব-কায়দায় ঘুরছেন আফগান মহিলারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাবুল নীতিকে স্বাগত দিল্লির

ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রের খবর, ছবিটি দেখিয়ে ম্যাকমাস্টার ব্যাখ্যা করেন, আগে আফগানিস্তান এই রকম উদার এবং আধুনিকই ছিল, সেখানে পশ্চিমী আদব-কায়দা অনুসরণ করলেও কোনও সমস্যা হত না। কিন্তু তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর আফগানিস্তানে সে সব বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কঠোর ইসলামি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, মহিলাদের পর্দার আড়ালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই ট্রাম্প মত বদলে ফেলেন বলে খবর। আফগানিস্তানে কট্টরবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই বহাল রাখতে তিনি রাজি হয়ে যান।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হানায় হত ১৯ শিশু, এক সপ্তাহে হত ১৬৭

সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের আফগান নীতি স্পষ্ট করেছেন। অত্যন্ত কড়া বয়ান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াই চলবে এবং আফগানিস্তানের মাটিতেও সে লড়াই আমেরিকা আগের মতোই জারি রাখবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন