Jasmin Moghbeli

মহাকাশে এক হয় দুই দেশ, বললেন নভশ্চর

জার্মানিতে এক ইরানীয় পরিবারে জন্ম জ্যাসমিনের। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের সময়ে ইরান ছেড়ে চলে এসেছিলেন জ্যাসমিনের বাবা-মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০১
Share:

জ্যাসমিন মোঘবেলি

সেনাবাহিনীর কপ্টার চালিয়েছেন এত দিন। আফগানিস্তানে অন্তত ১৫০টি ‘মিশনে’ গিয়েছেন তিনি। এ বার তাঁর মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা ‘মেরিন কোর’-এ মেজর জ্যাসমিন মোঘবেলি প্রথম ইরানীয়-মার্কিন মহাকাশচারী হিসেবে নাসা থেকে পাশ করলেন।

Advertisement

জার্মানিতে এক ইরানীয় পরিবারে জন্ম জ্যাসমিনের। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের সময়ে ইরান ছেড়ে চলে এসেছিলেন জ্যাসমিনের বাবা-মা। জ্যাসমিন আর তাঁর ভাইকে নিয়ে মোগবেলি দম্পতি পরে আমেরিকায় চলে আসেন। জ্যাসমিন বড় হয়েছেন নিউ ইয়র্কের বাডউইনে। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর স্বপ্নের রূপকথা। ১৫ বছর বয়সে মহাকাশ সম্পর্কিত একটি ‘ক্যাম্পে’ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকেই তারাদের বাড়ি ঘুরে আসার শখ তাঁর।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে অ্যারোনটিক্যাল ই়ঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। পরে তিনি ঠিক করেন সেনাবাহিনীর পাইলট হবেন। ২০০৫ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন জ্যাসমিন।

Advertisement

২০০৫ সালে ৯/১১ হামলার পরে পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় ছিল এই ভেবে যে এ বার ইরানীয় মেয়ের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে না তো। তবে তেমন কিছুই হয়নি। জ্যাসমিন জানান, কর্মক্ষেত্রে সকলের কাছ থেকে সব রকম সহায়তা পেয়েছেন। পাশে ছিল পরিবারও। তিন মাস আগেই বিয়ে করেছেন জ্যাসমিন। সব সময় পাশে থাকেন, উৎসাহ দেন স্বামী স্যামও।

আর সাম্প্রতিক ইরান-আমেরিকা টানাপড়েন? নাসার ‘গ্র্যাজুয়েশন’ অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের জ্যাসমিন জানালেন, সে সবের কোনও ছাপও পড়েনি তাঁর কর্মক্ষেত্রে। তাঁর কথায়, ‘‘মহাকাশে এক হয়ে যায় দু’টি দেশ!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন