প্যারিসে ‘জঙ্গি’ হানা, নিহত ২

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির ট্র্যাপ এলাকার। আজ সকাল ১০টা নাগাদ মা ও বোনের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে মধ্য তিরিশের ওই যুবক। এর পর একটি সুনসান রাস্তায় ফাঁকা বাড়ির ভিতরে আত্মগোপনের চেষ্টা করে সে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:১২
Share:

—প্রতীকী ছবি

ছুরি হাতে প্যারিসের রাস্তায় তাণ্ডব চালিয়ে মা ও বোনকে কুপিয়ে খুন করল এক যুবক। গুরুতর জখম এক। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় হামলাকারীরও। বৃহস্পতিবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর এটিকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে মনে করেছে না ফরাসি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। পুলিশের দাবি, ওই যুবক মানসিক ভাবে অসুস্থ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলির ট্র্যাপ এলাকার। আজ সকাল ১০টা নাগাদ মা ও বোনের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে মধ্য তিরিশের ওই যুবক। এর পর একটি সুনসান রাস্তায় ফাঁকা বাড়ির ভিতরে আত্মগোপনের চেষ্টা করে সে। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ছুরি হাতে তাদের উপরেও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় তার। হামলার কারণ নিয়ে ধন্দ কাটেনি দিনভর।

প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে মতামত প্রকাশ করে ২০১৬ সালে পুলিশের নজরে পড়েছিল ওই যুবক। তবে এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশ জানাচ্ছে, সে মানসিক ভাবে সুস্থ ছিল না। ফলে কোনও সন্ত্রাসবাদী দলের নির্দেশে সে এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইমপিচমেন্ট হলে অর্থনীতি ধসে পড়বে, দাবি ট্রাম্পের

প্যারিসের প্রত্যন্ত শহরতলি ট্র্যাপ। জনসংখ্যা ৩০ হাজার। হিংসা ও দারিদ্র তাঁদের নিত্যসঙ্গী। ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ফ্রান্স ছেড়ে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছে এখানকার অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা। আইএস তাদের মুখপাত্রে দাবি করেছে, ‘‘প্যারিসে যে হামলা চালিয়েছে, সে আমাদের দলের সদস্য।’’ এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফরাসি গোয়েন্দারা।

এ দিকে, গত কাল ৫৫ মিনিটের একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছে আইএস। যেটি তাদের নেতা আবু বকর আল বাগদাদির বলে দাবি জঙ্গি গোষ্ঠীটির। গত বছর মে মাসে সিরিয়ার রাকায় রুশ বিমান হানায় আইএস প্রধানের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে বাগদাদির শেষ অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছিল দল। কাল প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, সিরিয়া, ইরাকে তারা পরাজিত হলেও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র উইলিয়াম আরবান বলেন, ‘‘মার্কিন সরকারের তরফে কোনও সূত্র কখনও বাগদাদিকে মৃত বলে ঘোষণা করেনি। আমারা জানি না ও কোথায় আছে। তবে আমরা সব সময়েই চাই ওকে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন