তাইওয়ান নিয়ে শীতলতার মধ্যেই ফের বিতর্কের সুর চিন-মার্কিন সম্পর্কে। সাউথ চায়না সি-তে মার্কিন নৈসেনা বাহিনির একটি আন্ডারওয়াটার ড্রোন ‘চুরি’র অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সুবিক উপসাগরের একশো মাইল অদূরে ওই ঘটনাটি ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন সেনা আধিকারিকের দাবি, নৌসেনার প্রায় চোখের সামনে দিয়েই ড্রোনটি ‘চুরি’ করা হয়। প্রথম দিকে মুখ না খুললেও শুক্রবার পেন্টাগনের তরফে এ নিয়ে সরকারি ভাবে বেজিংয়ের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি ভাবে এর তীব্র নিন্দা ওই ড্রোনটি ফেরতেরও দাবি জানিয়েছে আমেরিকা।
ঠিক কী ঘটেছিল? সাউথ চায়না সি অঞ্চলের আন্তর্জাতিক জলপথ দিয়ে যাওয়ার সময় মার্কিন নৌসেনার জাহাজ ‘বাউউউচ’ লক্ষ করে, তার পিছনেই আসছে একটি চিনা যুদ্ধজাহাজ। জলের মধ্যেই একটি ছোট নৌকা নামিয়ে দেয় সেটি। বাউউইচের কাছাকাছি এসে মার্কিন নৌসেনার প্রায় চোখের সামনেই একটি ড্রোন নিয়ে চলে যান ওই নৌকার নাবিকেরা। মার্কিন বাহিনির তরফে সঙ্গে সঙ্গে রেডিওতে চিনা যুদ্ধজাহাজের যোগাযোগ করা হয়। ড্রোনটি তাদের সম্পত্তি বলে জানালেও চিনের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি বলে দাবি।
আরও পড়ুন
‘এক চিনে’ আপত্তি! পাল্টা চাপ ট্রাম্পকে
ড্রোন ‘চুরি’র পিছনে আসল কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন আধিকারিকেরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এর পিছনে কোনও কূটনৈতিক উদ্দেশ্য আছে নাকি কেবলমাত্র কয়েক জন চিনা নাবিকের কাজ তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ ডোনাল্ড ট্রাম্প রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পরই থেকেই আমেরিকার উপর ঘোরতর ক্ষুব্ধ চিন। ‘এক চিন নীতি’ থেকে শেষমেশ আমেরিকা সরে আসবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ যা-ই হোক না কেন, ড্রোন ‘হাতানো’র কোনও অধিকার চিনের নেই বলে সুর চড়িয়েছে আমেরিকা। পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, “কোনও পেশাদার নৈসেনা বাহিনীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।”