International News

কাশ্মীর নিয়ে সুর কতটা চড়াবে পাকিস্তান? রাষ্ট্রপুঞ্জে আজ রাতে মোদী, ইমরানের ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণে থাকবে না কাশ্মীর প্রসঙ্গ। বরং বিশ্বে শান্তি, সংহতি, ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের ভূমিকা এখন কী আর তা কী হতে চলেছে, সেই বৃহত্তর বিষয়ের উপর আলোকপাতই হবে মোদীর লক্ষ্য। আর পাক প্রধানমন্ত্রী চাইবেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তাঁদের অভিযোগকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:২৬
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

কাশ্মীর ‘কাঁটা’ মাথায় নিয়েই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আজ, শুক্রবার মুখোমুখি হবে ভারত, পাকিস্তান। সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের দেড় মাস পর। একেবারে শুরুর দিকেই ভাষণ দেবেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা। আগে নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই ইমরান খান। কী বলবেন তাঁরা, জানতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।

Advertisement

কাশ্মীরকে যেহেতু ‘দ্বিপাক্ষিক ইস্যু’ মনে করে ভারত, তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণে থাকবে না কাশ্মীর প্রসঙ্গ। বরং বিশ্বে শান্তি, সংহতি, ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের ভূমিকা এখন কী আর তা কী হতে চলেছে, সেই বৃহত্তর বিষয়ের উপর আলোকপাতই হবে মোদীর লক্ষ্য। আর পাক প্রধানমন্ত্রী চাইবেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তাঁদের অভিযোগকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলতে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে এ দিন নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুরুর কথা ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। তার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণ।

Advertisement

আরও পড়ুন- মনমোহনের জন্মদিনে কটাক্ষ ‘মোদীনমিক্স’কে​

আরও পড়ুন- পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় আপত্তি নেই, ‘টেররিস্তানে’র সঙ্গে কথা নয়: জয়শঙ্কর​

অধিবেশনে ভারতের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন। বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান যত ঝুঁকে পড়বে, ভারত ততই মাথা উঁচিয়ে চলবে।’’

কাশ্মীর নিয়ে যে পাক প্রধানমন্ত্রীর সুরটা সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চড়া থাকবে, দিনকয়েক আগে তাঁর আমেরিকা সফর শুরুর মুহূর্ত থেকেই তা বোঝাতে শুরু করেছেন ইমরান। আমেরিকায় বিভিন্ন সভা, সমাবেশে, থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির সভায় ইমরান বার বারই তুলেছেন সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর কাশ্মীরে মানবাধিকারের ‘যথেচ্ছ লঙ্ঘনে’র প্রসঙ্গ। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এ ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই মেপে পা ফেলার চেষ্টা করেছে। করে চলেছে। অধিবেশন শুরুর অনেক আগে থেকেই ভারত কূটনৈতিক ভাবে সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে বুঝিয়েছে কেন, কোন পরিস্থিতিতে রদ করা হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা। জানিয়েছে, কাশ্মীরের উন্নয়নের স্বার্থেই সেটা করা হয়েছে।

অধিবেশনের ফাঁকে ইতিমধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘‘আমি মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলাম। তবে যদি ওঁরা নিজেরাই কথা বলতে চান, তা হলে সেটা শুরু হোক তাড়াতাড়ি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন