ফের উত্তপ্ত হংকং, গ্রেফতার বহু

কাল চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জ়িনহুয়ার দফতরে হামলা চালিয়েছিলেন কিছু বিক্ষোভকারী। দফতরে বোতল বোমা ছোড়া হয়। যার জেরে সেখানকার মূল ফটকের প্রচুর কাচ ভেঙেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ।—ছবি রয়টার্স।

সপ্তাহান্তের বিক্ষোভে ফের অশান্ত হংকং।

Advertisement

গত কাল থেকেই বিভিন্ন প্রদেশে দাঙ্গাদমনকারী পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে বিক্ষোভকারীদের। আজও তাদের উপরে আক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শা তিন, তাই পো, তুয়েন মুনের মতো এলাকার বিভিন্ন শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন গণতন্ত্রাকামী বিক্ষোভকারীরা। তাইকু শিংয়ের সিটিপ্লাজ়ায় মানববন্ধন করেছিলেন প্রচুর মানুষ। পুলিশ সেই জমায়েত জোর করে তুলতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীদের একাংশ। বন্ধ করে দিতে হয় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ আইস স্কেটিং রিঙ্ক। বিক্ষোভকারীদের সরাতে কাঁদানে গ্যাস আর জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশের লাঠি চালনায় তাঁদের বহু সমর্থক রক্তাক্ত। গত দু’দিনে গোলমাল বাধানোর জন্য ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশের পাল্টা দাবি, মুখোশ পরা এখনও বেআইনি হংকংয়ে। তবু সেই মুখোশ পরেই প্রচুর মানুষ ফের পথে নামায় তাঁদের গ্রেফতার করতে হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।

কাল চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জ়িনহুয়ার দফতরে হামলা চালিয়েছিলেন কিছু বিক্ষোভকারী। দফতরে বোতল বোমা ছোড়া হয়। যার জেরে সেখানকার মূল ফটকের প্রচুর কাচ ভেঙেছে। নষ্ট হয়েছে নিরাপত্তা জনিত বেশ কিছু যন্ত্রও। আজ সকালে দফতরটি পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু কর্মচারীকে। পাশাপাশি একটি ফেসবুক পোস্টে গোটা হামলা কাণ্ডের নিন্দা করেছেন জ়িনহুয়া কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক মুখপাত্র বিক্ষোবকারীদের এই হামলাকে বর্বরোচিত আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত হংকংয়ে স্থিতাবস্থা ফেরানো। এর আগে জুলাইয়ে চিনের সঙ্গে হংকংয়ের সমন্বয়সাধনকারী এক অফিসারের দফতরে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়ে চিন-বিরোধী বার্তায় দেওয়াল ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে জ়িনহুয়ার দফতরে এই হামলায় অশনি সঙ্কেত দেখছে বেজিং।

Advertisement

এই পরিস্থতিতে আগামী পরশু বেজিং যাচ্ছেন হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যাম। এখনকার পরিস্থিতি তো বটেই, আগামী কয়েক বছরে হংকংয়ের বিভিন্ন প্রদেশের উন্নয়ন নিয়েও চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে।

আজকের সংঘর্ষে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল মেট্রো-সহ গণপরিবহণ। যার জেরে আজও যাঁদের কাজে বেরোতে হয়েছে, প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। নেপালের বাসিন্দা বিকাশ গত কয়েক বছর হংকংয়ে রয়েছেন। কাজ করেন একটি পানশালায়। তাঁর ক্ষোভ, এ ভাবে বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় কাজের জায়গায় পৌঁছতে ভীষণ অসুবিধে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তা অবরুদ্ধ। সব কিছু বন্ধ। মালিকেরা তো আর সে কথা শুনবেন না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ রোজ রোজ হেনস্থার শিকার হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement