একই ফ্রেমে (বাঁ দিক থেকে প্রথমে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জেফ্রি এপস্টিন (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়)। — ফাইল চিত্র।
যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত নথি (যা ‘এপস্টিন ফাইল’ নামেই অধিক পরিচিত) প্রকাশ্যে আনার জন্য আমেরিকার বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিতে সম্মত হল মার্কিন কংগ্রেস। কংগ্রেসের উভয় কক্ষ— হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ এবং সেনেটে মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিল পাশ হয়েছে। হাউসে নথি প্রকাশ্যে আনতে নির্দেশ দেওয়ার সমর্থনে ৪২৭টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে মাত্র একটি ভোট। অন্য দিকে সেনেটে কোনও আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটি ছাড়়াই সর্বসম্মতিক্রমে বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে পাশ হওয়া এই বিলটি এ বার পাঠানো হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেবিলে।
এপস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকে। এপস্টিনের সঙ্গে একসময় ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ছিল। দু’জনের একাধিক ছবি রয়েছে একসঙ্গে। যদিও ট্রাম্প বারবার দাবি করে এসেছেন, এপস্টিনের সঙ্গে একসময় বন্ধুত্ব থাকলেও তাঁর অপরাধের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। এর আগেও যৌন অপরাধী এপস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে আনার দাবি উঠেছে। শুরুতে ট্রাম্প এর বিরোধীই ছিলেন। তবে এরই মধ্যে গত রবিবার সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প নিজেই প্রস্তাব দেন, ওই নথি প্রকাশ্যে আনার বিষয়ে ভোটাভুটি হোক মার্কিন কংগ্রেসে।
ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের দু’দিন পরেই মঙ্গলবার কংগ্রেসের উভয় কক্ষই বিল প্রকাশ্যে আনার সম্মতি দিল। বস্তুত, গত সপ্তাহেই এপস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত নথির একাংশ প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানাচ্ছে, ২০ হাজার পাতারও বেশি ওই নথিতে বেশ কিছু জায়গায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামোল্লেখ রয়েছে। ওই নথি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ফের ট্রাম্প এবং এপস্টিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউসের দাবি, প্রেসিডেন্ট কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
মঙ্গলবার হাউসের ভোটাভুটির সময়ে নথি প্রকাশ্যে বিরুদ্ধে মাত্র একটিই ভোট পড়েছে। সেই ভোটটি দিয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিক পার্টি লুইসিয়ানার নেতা ক্লে হিগিন্স। তাঁর দাবি, এই নথি প্রকাশ্যে এলে অনেক নিরপরাধ মানুষকে ধাক্কা খেতে হতে পারে। হাউসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন এপস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত নথি প্রকাশের জন্য চাপকে ডেমোক্র্যাট শিবিরের ‘ভাঁওতা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার তিনিও নথি প্রকাশের পক্ষেই ভোট দেন।