Donald Trump

কুকথায় রাশ নিয়ে চিন্তায় কমিশন

এ দিকে, প্রথম বিতর্কে ‘সন্তুষ্ট’ ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘জয়’ তাঁরই হয়েছে। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘৪৭ বছরের মিথ্যাচার, ব্যর্থতা ও বিশ্বাসঘাতকতা’ সর্বসমক্ষে ফাঁস করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৩
Share:

মার্কিন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’-এর প্রথম দিনের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন।—ছবি রয়টার্স।

এক বক্তা অন্য জনকে ‘ক্লাউন’ বলছেন তো অন্য জন ফুঁসে উঠে কুকথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন। কখনও দু’জনে এক সঙ্গেই গাল পাড়ছেন একে অপরকে। আর তাঁদের থামাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন সঞ্চালক। মার্কিন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’-এর প্রথম দিনের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের এই কাণ্ডকারখানায় কার্যত বাক্যহারা আয়োজকেরা।

Advertisement

এই ‘ধারা’ই বজায় থাকলে পরবর্তী ডিবেটগুলির কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ডিবেট কমিশন। বিতর্ক চলাকালীন প্রায় প্রতি বারই বাইডেনকে মাঝপথে থামিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকানরা অবশ্য এতে ট্রাম্পের কোনও দোষ দেখছেন না। বরং তাঁদের বক্তব্য, বাইডেন যে রকম ‘অবান্তর’ কথা বলছিলেন, তাতে তাঁকে থামিয়ে কোনও অন্যায় করেননি প্রেসিডেন্ট। বর্ণবিদ্বেষ, অর্থনীতি, জলবায়ু, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও করোনাভাইরাস— যে প্রসঙ্গ উঠেছে, তা নিয়েই দুই প্রার্থী মারমুখী হয়েছেন। ফলে প্রথম

রাতের পরেই স্পষ্ট, আগামী বিতর্কসভাগুলি যাতে প্রার্থীদের লাগামহীন বচসার মঞ্চ না হয়ে ওঠে, তার জন্য নিয়মে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। কী সেই পরিবর্তন, তা খোলসা না করলেও, পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাদের এই বিষয়ে পরামর্শও দিয়েছেন। যেমন কেউ কেউ বলেছেন, কোনও প্রার্থীকে থামানোর দরকার হলে সঞ্চালককে যেন তাঁর মাইকটি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও বিতর্কসভার সঞ্চালক ও সাংবাদিক ক্রিস ওয়্যালেসের মতে, তাতে কাজের কাজ খুব কিছু হবে না। কারণ, দুই প্রার্থী এতটাই কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন যে, মাইক ছাড়াই ট্রাম্পের ‘বাঁজখাই’ গলা বাইডেনের কানে পৌঁছে যাবে।

Advertisement

গত কালের বিতর্ক নিয়ে তিতিরিরক্ত ক্রিসও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি যে হাতের বাইরেচলে যাচ্ছে, তা একটা সময়ে টের পান তিনি। এক সময়ে দেখাও গিয়েছিল, মেজাজ হারিয়ে একে অপরকে তুলোধনা করছেন দুই প্রার্থী এবং তাঁদের থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্রিস। অর্থাৎ তিন জনই এক সঙ্গে কথা বলছেন এবং কেউ কারও কথায় কর্ণপাত করছেন না। ক্রিসের কথায়, ‘‘এই রকম যে হতে পারে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি এ সব বিষয়ে দক্ষ। কিন্তু এ জন্মে এ রকম কিছু দেখিনি।’’

এ দিকে, প্রথম বিতর্কে ‘সন্তুষ্ট’ ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘জয়’ তাঁরই হয়েছে। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘৪৭ বছরের মিথ্যাচার, ব্যর্থতা ও বিশ্বাসঘাতকতা’ সর্বসমক্ষে ফাঁস করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দেশ চালানোর জন্য বাইডেন একেবারেই ‘দুর্বল’। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘বাইডেনের সমর্থকেরাই তো বলছেন, বাকি বিতর্কগুলিতে যেন আর যোগ না দেন তাঁদের নেতা। আমার মনে হয়, সেরকমটা করলেই ওঁর পক্ষে মঙ্গল। দেখা যাক কী হয়!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন