আমেরিকার দোকানে চুরি করার চেষ্টায় ভারতীয় মহিলার ধরা পড়ার দৃশ্য। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আমেরিকায় চুরির অভিযোগে ধরা পড়লে বাতিল হতে পারে ভিসা! সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক ভারতীয় মহিলার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ভিন্দেশিদের সতর্ক করল মার্কিন প্রশাসন। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাস থেকেও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় দাবি করা হচ্ছে, এক ভারতীয় মহিলা আমেরিকার একটি দোকান থেকে প্রায় ১৩০০ ডলারের জিনিস চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। বিষয়টি ধরা পড়ার পরে পুলিশকেও খবর দেন দোকানের কর্মী। পরে ওই মহিলা জিনিসের দাম মিটিয়ে দিতে রাজি হন বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
মহিলার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, তা-ও জানা যায়নি। তবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই বিবৃতি জারি করে পর্যটকদের সতর্ক করল নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার কারও উপর আক্রমণ বা চুরি করলে আইনি সমস্যার মধ্যে তো পড়তে হবেই, একই সঙ্গে ভিসাও বাতিল হয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভবিষ্যতেও আর কোনও দিন আমেরিকার ভিসা না-ও দেওয়া হতে পারে। তাই আমেরিকায় যাওয়া বিদেশি নাগরিকদের সে দেশের সকল আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মবিধি আরও কড়া হয়েছে। অবৈধবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই অভিবাসীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যে বিদেশিরা আমেরিকায় যাবেন, তাঁরা যেন আমেরিকার নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা আদর্শের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ না করেন। এর পর থেকেই দফায় দফায় নয়াদিল্লিতে আমেরিকার দূতাবাস থেকে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই আমেরিকার দূতাবাস থেকে বলা হয়েছিল, সে দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা মঞ্জুর হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নজরদারি বন্ধ হবে না। বরং প্রতি পদক্ষেপে ভিসাধারীদের উপর কড়া দৃষ্টি রাখা হবে। তাঁরা সকল আইন এবং অভিবাসনের নিয়ম মেনে চলছেন কি না, তা দেখা হবে। কোনও আইন ভাঙলেই সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভিসা বাতিল করে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
গত মাসেও একটি বিবৃতিতে আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছিল, সে দেশে যাওয়া সকলের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল আতশকাচের নীচে রেখে যাচাই করে দেখা হবে। পড়ুয়া হোক, কিংবা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারী— সকলের সমাজমাধ্যমের পোস্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখবেন মার্কিন কনস্যুলার অফিসারেরা।