আমেরিকা স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল— যে কোনও মুহূর্তে সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত তাদের বাহিনী। ছবি: এএফপি।
উত্তর কোরিয়ার ভাষাতেই এ বার সে দেশকে জবাব দেওয়া শুরু করল আমেরিকা। কঠোর আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে বার বার সামরিক আস্ফালন দেখাচ্ছে পিয়ংইয়ং। কখনও পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, কখনও জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে, কখনও মার্কিন সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এ বার পাল্টা সামরিক আস্ফালন শুরু করল আমেরিকা। সোমবার কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে দীর্ঘক্ষণ গর্জন করল মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় যুদ্ধবিমান। যে কোনও মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করতে যে ওয়াশিংটন ডিসি ও সোল প্রস্তুত, সে বার্তা খুব স্পষ্ট করেই দিয়ে দেওয়া হল কিম জং উনকে।
অন্তত ১০টি যুদ্ধবিমান এ দিন কোরীয় উপদ্বীপের আকাশ কাঁপিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে চারটি ছিল মার্কিন স্টেল্থ ফাইটার এফ-৩৫বি। দু’টি ছিল বি১-বি বোমারু বিমান। বাকি চারটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫কে জেট ফাইটার। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে যে আস্ফালন করছে, তার মোকাবিলায় যে আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার জোট প্রস্তুত, সোমবারের মহড়ায় তা বুঝিয়ে দেওয়া হল।
কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে যে ভাবে সোমবার শক্তি প্রদর্শন করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া, তাতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ আচমকা অনেকটাই চড়ে গিয়েছে। ছবি: এএফপি।
কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান শেষ বার এ ভাবে মহড়া দিয়েছিল ৩১ অগস্ট। কিন্তু তার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের ষষ্ঠ এবং এ যাবৎ সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে। জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে। আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলি শুধু নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। তবু থামছে না কিম জং উনের আস্ফালন। তাই ফের কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে সোমবার চক্কোর দিল যৌথ বাহিনীর বিমান বহর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা বিপজ্জনক: সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের দৌড় ওই পর্যন্তই: তীব্র কটাক্ষ করলেন ভারতীয় দূত
উত্তর কোরিয়াকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালির সতর্কবার্তা, ‘বেপরোয়া’ আস্ফালন বন্ধ না করলে উত্তর কোরিয়া ‘ধ্বংস’ হয়ে যাবে।