জঙ্গি দমনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন না করায় পাকিস্তানকে দেওয়া পঁয়ত্রিশ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দিল আমেরিকা। যার গোটাটাই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল। প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র অ্যাডাম স্টাম্প পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, হক্কানি নেটওয়ার্কের মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন দমনে কোনও রকম পদক্ষেপই করেনি পাকিস্তান। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জঙ্গি দমনে ব্যর্থ বলে পাকিস্তানের উপর যে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে হোয়াইট হাউস, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল দু’দিন আগেই। সেই সময় ‘জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গরাজ্য’ বলে মন্তব্য করে পাকিস্তানকে তুলোধোনাও করেছিল আমেরিকা। ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, জঙ্গিদমনে সন্তোষজনক পদক্ষেপ না করলে প্রতিরক্ষাখাতে অর্থ সাহায্য বন্ধ করা দেওয়া হবে। জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে তার ফল হাতেনাতে পেতে হবে ইসলামাবাদকে। এ দিন সেটাই করে দেখাল আমেরিকা।
আরও পড়ুন: শরিফ পরিবারকে হুঁশিয়ারি কোর্টের
তবে, ইসলামাবাদকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছরও পাকিস্তানকে তিন কোটি মার্কিন ডলারের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছিল পেন্টাগন। পাকিস্তানের মাটিতে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ফের সেই পথেই হাঁটল মার্কিন প্রশাসন। যদিও স্টাম্পের দাবি, এটাই শেষ নয়। সাউথ এশিয়া স্ট্র্যাটেজি নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আরও বাকি রয়েছে।