H-1B

ভিসা: ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি

ভিসার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডা কেলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৫:২৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এখনই বলবৎ হচ্ছে না এইচ-১বি ভিসা-সহ একাধিক ধরনের মার্কিন ভিসার উপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা রদের নির্দেশ দিতে গিয়ে ক্যালিফর্নিয়ার ফেডারেল আদালতের বিচারক জেফ্রি হোয়াইটের মন্তব্য, ‘‘ওয়ার্ক ভিসার উপর এই ধরনের নিষেধেজ্ঞা জারি করার সাংবিধানিক অধিকারই নেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের!’’ তবে এ দিনের রায় যে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় এবং বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য অনেকটাই স্বস্তি বয়ে আনল, সে বিষয়ে একমত সব মহলই।

Advertisement

করোনা অতিমারির আবহে ভূমিপুত্রদের জীবিকায় যাতে ‘বহিরাগত’রা থাবা না বসাতে পারে, সেই যুক্তিতে গত জুন মাসে নতুন করে এইচ-১বি, এইচ-২বি, জে এবং এল-সহ একাধিক ধরনের ভিসায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ বছর শেষ না-হওয়া পর্যন্ত অন্তত এই নিয়মে কোনও হেরফের হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। যা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। একই সঙ্গে এই নির্দেশের বিরোধিতায় মুখ খুলতে দেখা যায় তাবড় মার্কিন সংস্থাগুলিকে। আইনি পথে এর বিরোধিতায় নামে তারা।

মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স এবং ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স, ন্যাশনাল রিটেল ফেডারেশন এবং টেকনেট-এর মতো সংগঠনের অন্তর্গত বিভিন্ন সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, প্রশাসনিক ডিক্রি বলে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে যে পদক্ষেপ করেছে ট্রাম্প, তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও চেপে বসবে সংস্থাগুলির উপর।

Advertisement

আরও পড়ুন: আজারবাইজানকে পরমাণু-হুমকি আর্মেনিয়ার, পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ নয়াদিল্লির

আরও পড়ুন: সুপার হারকিউলিস বিমানের যন্ত্রাংশ দেবে ভারতকে, জানাল পেন্টাগন

পাশাপাশি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে পাখির চোখ হিসেবে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভিসায় রাশ টানা নিয়ে যে বিলে সই করেছেন, তা আইন বিরুদ্ধ বলেও অভিযোগ তোলেন সংস্থার কর্তারা। বৃহস্পতিবার রায়দানের সময় একই সুর শোনা গেল বিচারক হোয়াইটের কণ্ঠেও। তিনি বললেন, ‘‘দেশের অভিবাসন নীতি সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে একমাত্র মার্কিন কংগ্রেসের। সে দিক থেকে দেখতে গেলে প্রেসিডেন্ট নিজের অধিকারের বাইরে গিয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন। ফলে তা কার্যত বেআইনি।’’

ভিসার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডা কেলি। তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষ কর্মী খুঁজে বার করে উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের ভিসা নীতির জেরে যা বড় ক্ষতির মুখে পড়ত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই জয়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন