প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা ‘শাসন’ করল বলে পাকিস্তান আরও বেশি করে চিনের বন্ধু হয়ে যাবে, এমনটা মনে করছে না ওয়াশিংটন। আমেরিকা মনে করছে, এটা একেবারেই সরলীকরণ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার আশা, সন্ত্রাসবাদকে রোখা ও নির্মূল করাটা কতটা জরুরি, সে ব্যাপারে পাকিস্তানকে বোঝানোর ক্ষেত্রে নিজের স্বার্থেই ‘সহায়ক ভূমিকা’ নেবে চিন। কারণ, বেজিং চাইবে না সন্ত্রাসবাদে উপদ্রুত হয়ে থাকুক পাকিস্তান। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ুক পাকিস্তানের স্থায়িত্ব, স্থিতাবস্থা।
তাই চিন সহ এই অঞ্চলের শান্তিকামী দেশগুলিকে নিয়ে তারা এ ব্যাপারে ইসলামাবাদকে বোঝাতে রাজি বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ওই কর্তা।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্তাটির বক্তব্য, চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক। বহু দিনের। দু’টি দেশের সামরিক সম্পর্কও বেশ জোরদার। অর্থনৈতিক সম্পর্কটাও জোরদার হয়ে উঠছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) হাত ধরে।
আরও পড়ুন- কিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে আপত্তি নেই ট্রাম্পের
আরও পড়ুন- হাফিজ-মাসুদদের কোনও অনুদান নয়, বিজ্ঞপ্তি পাকিস্তানে
ওই কর্তাটির কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদকে রোখার প্রশ্নে আমেরিকা যা ভাবে, তার সঙ্গে চিনের খুব একটা ফারাক নেই। পাকিস্তান জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হয়ে থাকলে তা চিনের স্বার্থ রক্ষা করবে না।’’
হোয়াইট হাউসের কর্তাটি মনে করেন, চিন ভৌগোলিক কারণেই আফগানিস্তানে স্থায়িত্ব ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর পক্ষে কাজ করেছে, করে চলেছে। আর আফগানিস্তানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্যই পাকিস্তানকে জঙ্গিদের কবলমুক্ত করার প্রয়োজন চিনের।
হোয়াইট হাউস মনে করছে, সেই প্রয়োজনটা চিনের আরও বেড়েছে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) বানানোয়। কারণ, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের ‘আঁতুড়ঘর’ হয়ে থাকলে ওই অর্থনৈতিক করিডর দিয়ে চিনের ব্যবসা, বাণিজ্যের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাধা পাবে।