Azerbaijan and Armenia Conflict

‘দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাই’! গাজ়া, ইউক্রেনের পরে ট্রাম্পের ‘নজর’ আজ়ারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে

মুসলিম রাষ্ট্র আজ়ারবাইজান সামরিক সাহায্য পাচ্ছে তুরস্ক, পাকিস্তান এবং চিনের থেকে। খ্রিস্টান দেশ আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তারা ‘সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে’ রয়েছে বলেই পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৬
Share:

আজ়ারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ইজ়রায়েল-হামাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ইতি টানতে এখনও তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এরই মধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নজর পড়ল’ ককেশাস পর্বতমালায়। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখলদারি নিয়ে আজ়ারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার গত সাড়ে তিন দশক ধরে দফায় দফায় লড়াই চলছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই প্রজাতন্ত্রের সেই সংঘর্ষে এ বার ইতি টানতে সক্রিয় হয়েছেন ট্রাম্প।

Advertisement

মার্কিন বিদেশ দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘স্টেট ব্যুরো অফ এনার্জি রিসোর্সেস’-এর তরফে শুক্রবার একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখতে চান যে আজ়ারবাইজান ও আর্মেনিয়া দীর্ঘ দিনের সংঘাত থামিয়ে শান্তিচুক্তি সই করেছে।’’ প্রসঙ্গত, বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথম মুসলিম প্রধান আজ়ারবাইজানের সঙ্গে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আর্মেনিয়ার সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছিল। এর পরে ২০২০ সালে দু’দেশের যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

সে সময় মস্কোর মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেন সমস্যায় ব্যতিব্যস্ত ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে সেই ভূমিকা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। গত দু’বছরে পাকিস্তান এবং চিনের মদতে নাগোরনো-কারাবাখের অধিকাংশ এলাকাই দখল করে নিয়েছে আজ়ারবাইজান। বস্তুত, ৪,৪০০ বর্গকিলোমিটারের নাগোরনো-কারাবাখ সোভিয়েত জমানায় আজ়ারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অঞ্চলের প্রায় দেড় লক্ষ বাসিন্দার অধিকাংশই আর্মেনীয় খ্রিস্টান। তাঁরা মুসলিম রাষ্ট্র আজ়াবাইজানের অধীনে থাকতে নারাজ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আজ়ারবাইজান সেনার ধারাবাহিক হামলায় ওই এলাকার লক্ষাধিক খ্রিস্টান নাগরিক আর্মেনিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement