(বাঁ দিকে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার বদলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উচিত ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা। রাশিয়ার উপকূলের অদূরেই যে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মার্কিন ডুবোজাহাজ মোতায়েন রয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
রবিবারই পুতিন দাবি করেছেন, তাঁরা পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ‘বুরেভেস্টনিক’ ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছেন। মস্কোর দাবি, যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ‘বুরেভেস্টনিক’ ১৪ হাজার কিলোমিটারের (৮,৭০০ মাইল) দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে বলে দাবি মস্কোর। রাশিয়ার এই দাবির পরই সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি জানান, আমেরিকার এত দূরপাল্লায় পা়ড়ি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, রাশিয়ার উপকূলের কাছেই তাঁদের পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ডুবোজাহাজ রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, ট্রাম্প বলেন, “ওরা (রাশিয়া) জানে আমাদের একটি পরমাণু (অস্ত্রবহনে সক্ষম) ডুবোজাহাজ ওদের উপকূলের কাছে রয়েছে। আমাদের ডুবোজাহাজ বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই আমে যেটা বলতে চাইছি— এটিকে (আমেরিকার অস্ত্রকে) ৮,০০০ মাইল যেতে হবে না।”
এর পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “পুতিন যে সব কথা বলছেন, এগুলি বলা উচিত বলে আমি মনে করি না। তাঁদের যুদ্ধ শেষ করা উচিত। যে যুদ্ধ এক সপ্তাহে মিটে যাওয়ার কথা ছিল, তা এখন চার বছর ধরে চলছে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে আপনার (পুতিনের) যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকেভ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েই পদক্ষেপ করবে রাশিয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘বুরেভেস্টনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কে টানাটানি পড়ার মতো কিছু ঘটেনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, রুশ বিদেশ উপমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের বিষয়ে আমেরিকাকে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।